রাহুল গান্ধী। ছবি: পিটিআই।
রাহুল গান্ধী এ বার সরাসরি অভিযোগ তুললেন, করোনার অজুহাত দিয়ে তাঁর ভারত জোড়ো যাত্রা বন্ধ করার চেষ্টা হচ্ছে। বুধবারই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডবিয়া রাহুল গান্ধীকে চিঠি লিখে পরামর্শ দিয়েছিলেন, ভারত জোড়ো যাত্রায় অংশগ্রহণকারীরা কোভিডের জন্য সাবধানতা না-মানলে যাত্রা বন্ধ রাখা হোক। আজ রাহুল হরিয়ানা থেকে অভিযোগ তুলেছেন, “বিজেপি আমাকে চিঠি লিখে জানিয়েছে, কোভিড আসছে। যাত্রা বন্ধ করুন। যাত্রা আটকানোর জন্য নতুন ফন্দি খোঁজা হচ্ছে। আসলে ওঁরা ভারতের শক্তি, ভারতের সত্যকে ভয় পেয়েছেন।” কংগ্রেসের অভিযোগ, রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়ো যাত্রার মানুষের সাড়া দেখে আতঙ্কিত বিজেপি যাত্রা বন্ধ করতে কোভিড নিয়ে অতিসক্রিয় হয়ে পড়েছে। কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ বলেন, “গুজরাত-ওড়িশায় জুলাই, সেপ্টেম্বর, নভেম্বরে ওমিক্রনের উপ-প্রজাতির ভাইরাস ধরা পড়েছিল। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বুধবার রাহুলকে চিঠি লিখলেন, প্রধানমন্ত্রী বৃহস্পতিবার বৈঠকে বসে গেলেন, শনিবার যাত্রা দিল্লিতে ঢুকবে। আপ ক্রনোলজি সামঝিয়ে!”
রাহুলের এই অভিযোগের পরে বিজেপির নেতারা তাঁকে পাল্টা আক্রমণ করেছেন। বিজেপির আই টি সেলের নেতা অমিত মালবীয়র অভিযোগ, রাহুল দায়িত্বজ্ঞানহীন নেতার আদর্শ উদাহরণ। তিনি নিজের স্বার্থ চরিতার্থ করতে মানুষের জীবনকেও বাজি ধরতে পারেন। উল্টো দিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী-সহ বিজেপির মন্ত্রীরা সংসদে এ দিন থেকেই মাস্ক পরতে শুরু করে দায়িত্বজ্ঞানের পরিচয় দিয়েছেন। কংগ্রেস মুখপাত্র সুপ্রিয়া শ্রীনতে পাল্টা প্রশ্ন তুলেছেন, প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর গোটা মন্ত্রিসভা বুধবারই একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন। সেখানে কেউ মাস্ক পরেননি। করোনা কি বিয়েবাড়িতে আসে না? বুধবার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়র ভাইপোর বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন। সে দিকেই ইঙ্গিত করেছেন শ্রীনতে। তাঁর বক্তব্য, বিজেপি নেতা মালবীয় এক দিকে ভারত জোড়ো যাত্রায় ভিড় নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। অন্য দিকে কাঁথিতে শুভেন্দু অধিকারীর সভায় ভিড় নিয়ে বড়াই করছেন। এটা নিছক ভণ্ডামি।
ভারত জোড়ো যাত্রায় অবশ্য এমনিতেই শনিবারের পর থেকে ২ জানুয়ারি পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। শনিবার যাত্রা দিল্লিতে ঢুকবে। তা নিয়েও দিল্লি পুলিশের সঙ্গে কংগ্রেস নেতাদের বিবাদ বেঁধেছে। কংগ্রেস দক্ষিণ দিল্লির বদরপুর থেকে ইন্ডিয়া গেট হয়ে লাল কেল্লা পর্যন্ত যাত্রা নিয়ে যেতে চাইছে। কিন্তু দিল্লি পুলিশ তাতে অনুমতি দিতে নারাজ। পুলিশের যুক্তি, যাত্রায় ২৫ হাজার মানুষের ভিড় হবে বলে অনুমান। শহরের মাঝখান দিয়ে যাত্রা গেলে গোটা শহর অচল হয়ে যাবে। তাই যাত্রা শহরের এক প্রান্তে রিং রোড ধরে নিয়ে যাওয়া হোক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy