সদ্যসমাপ্ত দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি ২২টি আসনে পরাজিত হয়েছে। সেখানে হারের কারণ খুঁজতে নেমে পড়লেন পদ্ম শিবিরের নেতৃত্ব। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দেশে ফিরলে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর নাম চূড়ান্ত করবে বিজেপি।
আজ দলের জয়ী বিধায়ক, সাংসদ, দিল্লি নির্বাচনের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা ছাড়াও প্রায় ৪০টি সঙ্গী সংগঠনের নেতারা বৈঠকে বসেন। উপস্থিত ছিলেন আরএসএসের প্রতিনিধিরাও। সেখানেই হারের বিষয়গুলি নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়। বিশ্লেষণে উঠে আসে দিল্লির সংখ্যালঘু এলাকাতে ১২টি আসনে হেরেছে বিজেপি। সূত্রের মতে, ওই এলাকাগুলিতে আগামী দিনে সংগঠন কী ভাবে বাড়ানো যায়, তা নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়। তা ছাড়া দিল্লির দলিত সমাজের একটি বড় অংশ মুখ ঘুরিয়ে ছিল। ফলে দলিত অধ্যুষিত এলাকাগুলিতে বিজেপি প্রার্থীরা ভাল ফল করেননি। সেই কারণে দলিত এলাকায় আরও বেশি করে শক্তি বাড়ানোর উপরেও জোর দেওয়া হয়েছে।
শনিবার ফলপ্রকাশ হলেও এখনও মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন তা চূড়ান্ত করে উঠতে পারেনি বিজেপি। সব ঠিক থাকলে আগামী রবিবার মুখ্যমন্ত্রী বেছে নিতে বৈঠকে বসতে পারে বিজেপি পরিষদীয় দল। সূত্রের মতে, আগামী শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী দেশে ফেরার পরেই মুখ্যমন্ত্রী নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে। তার পরেই বিধায়ক দলের বৈঠক ডাকার কথা ভাবা হয়েছে। সে ক্ষেত্রে আগামী সপ্তাহেই শপথ নেবে নতুন মন্ত্রিসভা।
বিজেপির এক নেতার কথায়, ‘‘এখন পর্যন্ত অরবিন্দ কেজরীওয়ালকে হারানো জাঠ নেতা প্রবেশ বর্মা এগিয়ে রয়েছেন। তিনি ছাড়াও মহিলা ও দলিত বিধায়ক, পূর্বাঞ্চলীয় নেতারাও মুখ্যমন্ত্রিত্বের দৌড়ে রয়েছেন।’’ দিল্লির মন্ত্রিসভায় সর্বোচ্চ সাত জন সদস্য হতে পারেন। তাই দিল্লির সাতটি লোকসভা থেকেই যাতে মন্ত্রিসভায় প্রতিনিধিত্ব থাকে, তা নিশ্চিত করতে বিজেপিকে পরামর্শ দিয়েছে আরএসএস।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)