গৌতম আদানি এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ফাইল চিত্র।
আদানি প্রসঙ্গে আটকে না থেকে বাজেট নিয়ে প্রচারে নেমে পড়ার জন্য সাংসদদের নির্দেশ দিলেন বিজেপি নেতৃত্ব।
আদানি বিতর্কে কার্যত থমকে রয়েছে সংসদের অধিবেশন। বিশেষ করে আদানি শিল্প গোষ্ঠীর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সম্পর্ক নিয়ে বিরোধীরা প্রচারের সুর তীব্র করায় বেশ অস্বস্তিতে বিজেপি সাংসদেরা। তবে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব দলের সাংসদদের বলেছেন, এসবে কান না দিয়ে আগামী বছরের লোকসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে নিজের নিজের এলাকায় বাজেটের ইতিবাচক দিকগুলি তুলে ধরতে হবে। কারণ, লোকসভা নির্বাচনের আগে এটিই শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেট। দেশের সার্বিক উন্নয়ন ও কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে বাজেটে কী ধরনের পদক্ষেপ করা হয়েছে, তা দেশবাসীর সামনে তুলে ধরা জরুরি।
বিজেপি নেতৃত্বের পক্ষ থেকে দলীয় বার্তায় বলা হয়েছে, আদানি সংস্থাকে ঘিরে যে বিতর্ক তৈরি হয়েছে তা কেবলমাত্র একটি সংস্থা-কেন্দ্রিক। সামগ্রিক ভাবে এর সঙ্গে সরকার ও শেয়ার বাজারের ওঠানামার কোনও সম্পর্ক নেই। ফলে সরকারের সরাসরি এতে কোনও দায় নেই। আর আদানিদের বিরুদ্ধে কিছু ব্যবস্থা নেওয়ার থাকলে তা শেয়ার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বা রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক নেবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। সুতরাং এ নিয়ে সরকারের আলাদা করে করার কিছু নেই। অতীতের মতো এ ক্ষেত্রেও বিষয়টি নিয়ে বিরোধীরা প্রচারের ঝড় তোলার কৌশল নেবে বলে ধরেই নিয়েছে বিজেপি। তাই বাজেট নিয়ে দেশ জুড়ে ব্যাপক ভাবে প্রচার চালিয়ে গোটা চিত্রনাট্যকে বদলে দেওয়ার কৌশল নিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহেরা। আজ কর্নাটকের টুমাকুরুতে মোদী বলেন, ‘‘এই বাজেট ভারতকে শক্তিশালী রাষ্ট্রে পরিণত করার ভিত্তি হিসেবে গণ্য হবে। এতে সবার কথা ভাবা হয়েছে। এই বাজেট সকলের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবে, স্বনির্ভরতাকেও উৎসাহ দেবে।’’ দলের দাবি, বাজেট গ্রামীণ ভারত, গরিব, মহিলা ও যুব সমাজ, প্রবীণ নাগরিকদের কথা ভেবে হয়েছে।
বিরোধীদের অভিযোগ, আদানি গোষ্ঠীকে ঋণ পাইয়ে দেওয়ার প্রশ্নে এলআইসি বা এসবিআইয়ের উপরে চাপ দেওয়া হয়েছিল। সরকারের একেবারে শীর্ষ স্তর থেকে আদানিদের ঋণ দেওয়ার জন্য সুপারিশ করা হয়েছিল। বিজেপির পাল্টা যুক্তি, কংগ্রেস-সহ বিরোধীরা অতীতে এ ধরনের নানা অভিযোগ করেছে। কিন্তু আদালতে কিছুই প্রমাণ হয়নি। আর এলআইসি জানিয়েছে, মোট ঋণের ১ শতাংশের কম ঋণ রয়েছে আদানি শিল্প গোষ্ঠীর কাছে। যদি প্রভাব খাটাতেই হয়, তা হলে কেন আরও বেশি অর্থ ঋণ হিসাবে পেল না ওই সংস্থা? বিরোধীরা যে যৌথ সংসদীয় কমিটির (জেপিসি) তদন্তের দাবি তুলেছে, তা-ও খারিজ করে দিয়েছে শাসক শিবির।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy