মহারাষ্ট্রের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী বাছাইয়ের জন্য দুই কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক নিয়োগ করল বিজেপি। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন এবং গুজরাতের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপাণীকে ওই দায়িত্ব দিয়েছেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা। বিজেপির তরফে জানানো হয়েছে, মঙ্গলবার মুম্বইয়ে দলের নবনির্বাচিত বিধায়কদের বৈঠকে আনুষ্ঠানিক ভাবে পরিষদীয় নেতা নির্বাচন করা হবে।
২৩ নভেম্বর মহারাষ্ট্রের বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণা হয়েছে। ২৮৮টি আসনের মধ্যে ২৩০টি আসনে জয়ী হয়েছে মহাজুটি। বিজেপি একাই পেয়েছে ১৩২টি আসন। যদিও মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন, এখনও পর্যন্ত তা ঘোষণা করেনি মহাজুটি। এই আবহে বৃহস্পতিবার রাতে দিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং নড্ডার সঙ্গে বৈঠকের পরে সাতারায় চলে গিয়েছেন বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী তথা শিবসেনা (শিন্ডে) প্রধান একনাথ শিন্ডে। তার পরেই কানাঘুষো শুরু হয়েছে যে, মহাজুটির অন্দরে ভাঙন ধরেছে। যদিও রবিবার সে জল্পনায় জল ঢেলে শিন্ডে বলেন, ‘‘এই সরকার মানুষের সরকার। আমি নিজের ভূমিকা স্পষ্ট করেছি। মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন, তা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন প্রধানমন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। ওঁরা (বিজেপি বিধায়কেরা) সোমবার বৈঠকে বসছেন। তার পরে সিদ্ধান্ত হবে। চিন্তা করবেন না।’’
এই পরিস্থিতিতে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা দেবেন্দ্র ফডণবীসই আবার মুম্বইয়ের কুর্সি ফিরে পেতে চলেছেন বলে মনে করা হচ্ছে। তবে জল্পনায় রয়েছে বিজেপির রাজ্য সভাপতি চন্দ্রশেখর বাওয়নকুলে এবং প্রাক্তন দুই প্রভাবশালী মন্ত্রী রবীন্দ্র চহ্বাণ ও মুরলীধর মোহলের নামও। বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী শিন্ডের পুত্র শ্রীকান্তকে উপমুখ্যমন্ত্রী করা হতে পারে বলে জল্পনা থাকলেও সোমবার তিনি বলেন, ‘‘আমি কোনও পদের দৌড়ে নেই।’’ অন্য দিকে, এনসিপি (অজিত)-এর প্রধান অজিত পওয়ার সোমবার দিল্লি যাওয়ায় নতুন করে জল্পনা তৈরি হয়েছে। বিজেপির একটি সূত্র জানাচ্ছে, দফতর নিয়ে দর কষাকষি করতেই তাঁর এই দিল্লিযাত্রা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy