ফাইল চিত্র।
সংসদে মোদী সরকার পেগাসাস স্পাইওয়্যারে ফোনে আড়ি পাতার অভিযোগ নিয়ে আলোচনায় রাজি নয়। সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতেও বিজেপি সাংসদ এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক, তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রকের কর্তাদের অনুপস্থিতিতে পেগাসাস নিয়ে আলোচনা হল না।
বুধবার ‘নাগরিকদের তথ্যের নিরাপত্তা ও গোপনীয়তা’ নিয়ে আলোচনায় কংগ্রেস নেতা শশী তারুরের নেতৃত্বাধীন তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রকের সংসদীয় স্থায়ী কমিটি স্বরাষ্ট্র, তথ্যপ্রযুক্তি ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রকের কর্তাদের ডেকে পাঠিয়েছিল। উদ্দেশ্য ছিল, পেগাসাস স্পাইওয়্যার নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা। কিন্তু আজকের বৈঠকে মন্ত্রকের কর্তারা বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে বৈঠকে হাজির হননি। বিজেপি সাংসদেরা প্রথমে কমিটির চেয়ারম্যান তারুরের বিরুদ্ধে স্বাধিকার ভঙ্গের অভিযোগ তোলেন। তাঁদের দাবি, সংসদীয় কমিটির বৈঠকে কী আলোচনা হবে, তারুর তা সংবাদমাধ্যমে আগেই জানিয়ে দিয়েছেন। এর পরে বৈঠকে গেলেও বিজেপি সাংসদেরা হাজিরা খাতায় সই করেননি। ফলে ‘কোরাম’ বা ন্যূনতম উপস্থিতির অভাবে বৈঠক ভেস্তে গিয়েছে।
এরই মধ্যে স্থায়ী কমিটির দুই সদস্য, বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে ও তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র টুইটারে বাক্-যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েন। বৈঠকের আগে মহুয়া অভিযোগ তোলেন, নিশিকান্ত দুবের মতো বিজেপি নেতারা মরিয়া হয়ে তারুরের বিরুদ্ধে স্বাধিকার ভঙ্গের নোটিস দিয়েছেন। যাতে স্থায়ী কমিটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে পেগাসাস নিয়ে জেরা করতে না পারে। এরপর নিশিকান্ত টুইট করে অভিযোগ তোলেন, মহুয়া তাঁকে ‘বিহারি গুণ্ডা’ বলে ‘গালি’ দিয়েছেন। স্থায়ী কমিটির বৈঠকে তিনবার তিনি ওই শব্দ বলেছেন। দুবের অভিযোগ, মহুয়া এই গালি দিয়ে উত্তর ভারতীয় ও হিন্দিভাষীদের প্রতি তৃণমূলের বিদ্বেষ প্রকাশ্যে এনে ফেলেছেন। মহুয়া পাল্টা বলেন, ‘‘আমি বিস্মিত। সদস্যরা হাজির ছিলেন না বলে কমিটির বৈঠকই হয়নি। যিনি ছিলেনই না, তাঁর নামে আমি কী ভাবে কিছু বলতে পারি?’’
স্থায়ী কমিটিতে কংগ্রেসের সদস্য কার্তি চিদম্বরমের অভিযোগ, কেন্দ্রীয় সরকার পেগাসাস এড়িয়ে যেতে চাইছে। বিজেপি সদস্যেরা কমিটিতে এসেও হাজিরা খাতায় সই করেননি, যাতে বৈঠকে কোরাম না হয়। সরকারি কর্তারা অজুহাত দিয়ে বৈঠক এড়িয়ে গিয়েছেন। কংগ্রেসের অভিযোগ, সরকার ও বিজেপি পরিকল্পিত ভাবেই স্থায়ী কমিটিতে পেগাসাস নিয়ে আলোচনা আটকে দিয়েছে। মহুয়া জানান, তিনি তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের বিরুদ্ধে সংসদে পেগাসাস নিয়ে ভুল তথ্য দেওয়ার অভিযোগে স্বাধিকার ভঙ্গের নোটিস এনেছেন। কিন্তু সে বিষয়ে কোনও ব্যবস্থা হয়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy