বিপিন রাওয়ত ও আর কে এস ভদৌরিয়া —ফাইল চিত্র
বায়ুসেনার ভূমিকা মূলত শত্রুর আকাশপথে হানার মোকাবিলা করা ও সেনাকে সাহায্য করা বলে মন্তব্য করেছিলেন চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল বিপিন রাওয়ত। তার পরেই বায়ুসেনা প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল আর কে এস ভদৌরিয়া জানালেন, কেবল সেনাকে সাহায্য করাই বায়ুসেনার কাজ নয়। তিন সশস্ত্র বাহিনীর যে কোনও সংযুক্ত কমান্ডে বায়ুসেনার ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সশস্ত্র বাহিনীর তিন শাখার মধ্যে সমন্বয় বাড়াতে তৈরি করা হয়েছে চিফ অব ডিফেন্স স্টাফের পদ। এর পরে তিন বাহিনীর যৌথ ‘থিয়েটার কমান্ড’ তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে কেন্দ্রের। তবে বায়ুসেনার তরফে এ নিয়ে কিছু প্রশ্ন তোলা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। সরকারের একাংশের মতে, বায়ুসেনার হাতে উপকরণ তুলনামূলক ভাবে কম। তাই বিভিন্ন ‘থিয়েটার কমান্ড’-এ উপকরণ মোতায়েনের ক্ষেত্রে তাদের আপত্তি রয়েছে।
আজ এক অনুষ্ঠানে এই বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে রাওয়ত বলেন, ‘‘বায়ুসেনার পাঁচটি কমান্ড রয়েছে। আবার প্রস্তাবিত থিয়েটার কমান্ডগুলির মধ্যে একটির কেবল আকাশ প্রতিরক্ষার কাজ দেখাশোনা করার কথা। সকলেই জানেন পরিবর্তন নিয়ে আপত্তি রয়েছে। কিন্তু আমাদের কাজ হল সেই আপত্তির বিরুদ্ধে লড়াই করা। কারণ যুদ্ধের প্রকৃতি বদলাচ্ছে।’’ সেইসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘ভুলবেন না বায়ুসেনা মূলত অন্য সশস্ত্র বাহিনীকে সাহায্য করার কাজ করে। যেমন সেনার গোলন্দাজ ও ইঞ্জিনিয়ার্স রেজিমেন্ট অন্য ইউনিটকে সাহায্য করে। বায়ুসেনার সনদেই আকাশপথে শত্রুর হামলার মোকাবিলা ও সেনাকে সাহায্য করার কথা রয়েছে। বায়ুসেনাকে তার মূল সনদ মেনে চলতে হবে।’’ এর পরে ওই একই অনুষ্ঠানে এ নিয়ে প্রশ্নের জবাবে বায়ুসেনা প্রধান ভদৌরিয়া বলেন, ‘‘বায়ুসেনার ভূমিকা কেবল সাহায্য করা নয়। যে কোনও সংযুক্ত কমান্ডে বায়ুসেনা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। থিয়েটার কমান্ড তৈরির বিষয়ে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। কিন্তু তার গঠন সঠিক হওয়া প্রয়োজন।’’
লাদাখে চিনা বায়ুসেনার পরিকাঠামো আরও জোরালো করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বায়ুসেনা প্রধান। তাঁর মতে, ‘‘সমঝোতার প্রথম পর্যায়ে দু’দেশের সশস্ত্র বাহিনী সেনা ও উপকরণ কিছুটা সরিয়ে নিয়েছিল। তার পরে কার্যত পরিস্থিতির কোনও পরিবর্তন হয়নি। চিনা বায়ুসেনা কিছু বিমান ফিরিয়ে নিয়ে গিয়েছে। কিন্তু বাকি পরিকাঠামো আরও জোরালো করা হয়েছে। আমরা পরিস্থিতির উপরে নজর রাখছি। প্রয়োজনীয় পদক্ষেপও করছি।’’ লাদাখের প্যাংগং হ্রদ এলাকায় মুখোমুখি দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থা থেকে কিছুটা পিছিয়েছে ভারত ও চিনের সেনা। বাকি এলাকায় তেমন কোনও পরিবর্তন হয়নি। বিষয়টি দু’দেশের মধ্যে নানা স্তরে আলোচনা চলছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy