Advertisement
E-Paper

ভাগ্নের বিয়ে, ১০ দিনের জন্য বিলকিস বানো মামলার অপরাধীকে প্যারোলে মুক্তি দিল গুজরাত হাই কোর্ট

সুপ্রিম কোর্টের আদেশের পর গত ২১ জানুয়ারি পঞ্চমহল জেলায় গোধরা সাব-জেলে গিয়ে ধরা দিয়েছিলেন গুজরাত হিংসায় খুন এবং গণধর্ষণকাণ্ডের অপরাধীরা। গত সপ্তাহে প্যারোলের জন্য হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন রমেশ।

গুজরাতে খুন এবং গণধর্ষণে দোষী সাব্যস্ত ১১ জন।

গুজরাতে খুন এবং গণধর্ষণে দোষী সাব্যস্ত ১১ জন। —ফাইল চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০৮:১৫
Share
Save

১০ দিনের জন্য প্যারোলে মুক্তি পেলেন বিলকিস বানো মামলার অপরাধী রমেশ চন্দনা। ভাগ্নের বিয়েতে যোগ দেওয়ার জন্য ৫ মার্চ থেকে ১০ দিনের তাঁর প্যারোল মঞ্জুর করেছে গুজরাত হাইকোর্ট। সুপ্রিম কোর্টের আদেশের পর গত ২১ জানুয়ারি পঞ্চমহল জেলায় গোধরা সাব-জেলে গিয়ে ধরা দিয়েছিলেন গুজরাত হিংসায় খুন এবং গণধর্ষণকাণ্ডের অপরাধীরা। গত সপ্তাহে প্যারোলের জন্য হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন রমেশ। তাঁর সেই আবেদন মঞ্জুর হয় শুক্রবার।

বিলকিস মামলায় রমেশ দ্বিতীয় অপরাধী, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে আত্মসমর্পণের পরে যাঁর প্যারোল মঞ্জুর করা হয়েছে। এর আগে, সেই মামলার অন্য এক আসামি, প্রদীপ মোধিয়ার প্যারোলের আবেদন মঞ্জুর করেছিল গুজরাত হাই কোর্ট। ৭ থেকে ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্যারোলে মুক্তি পেয়েছিলেন প্রদীপ।

সংবাদমাধ্যম ‘এনডিটিভি’র প্রতিবেদন অনুযায়ী, সুপ্রিম কোর্টের কাছে গুজরাত সরকারের তরফে জমা দেওয়া হলফনামা বলছে, ২০০৮ সালে কারাবাস শুরুর পর থেকে ১,১৯৮ দিনের জন্য প্যারোলে মুক্ত ছিলেন রমেশ। এ ছাড়াও ২০২২ সালের ১৫ অগস্ট ৭৬তম স্বাধীনতা দিবসে খুন এবং গণধর্ষণের মামলায় সাজাপ্রাপ্ত ১১ জনকে জেলে ‘ভাল আচরণ’ করার যুক্তি দিয়ে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় গুজরাত সরকার। তার আগে, মুক্তির জন্য আদালতে আবেদন জানিয়েছিলেন ধর্ষণের মামলায় সাজাপ্রাপ্ত ওই অপরাধীরা। বিজেপি শাসিত গুজরাত সরকার ১১ অপরাধীর মুক্তির পক্ষে সওয়াল করে। এর পরই ১১ জনকে ছাড়ার সিদ্ধান্তের কথা জানায় আদালত। সুপ্রিম কোর্টের ছাড়পত্রও মিলেছিল।

তবে গত ৮ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্ট জানায়, গুজরাত সরকারের ওই সিদ্ধান্ত এক্তিয়ার-বহির্ভূত। বিচারপতি বিভি নাগরত্ন এবং বিচারপতি উজ্জ্বল ভুয়ানের পর্যবেক্ষণ ছিল, জালিয়াতি করে ধর্ষকদের মুক্তি দেওয়া হয়েছিল। কারণ ধর্ষকদের মুক্তি দেওয়া সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার এক্তিয়ারই ছিল না গুজরাত সরকারের। একই সঙ্গে শীর্ষ আদালত নির্দেশ দেয় যে, খুন এবং ধর্ষণে দোষী সাব্যস্ত হওয়া ১১ জনকেই দু’সপ্তাহের মধ্যে জেলে ফিরে যেতে হবে। আত্মসমর্পণ করতে হবে তাঁদের। এর পর ২১ জানুয়ারি রাতে তাঁরা কারাগারে গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন।

(সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনেই আনন্দবাজার অনলাইন কোনও ধর্ষিতা বা ধর্ষণের অভিযোগকারিণীর নাম-পরিচয় প্রকাশ করে না। কিন্তু বিলকিস বানো মামলায় শীর্ষ আদালত তার রায়ের যে প্রতিলিপি সর্বসাধারণের জন্য তাদেরই ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেছে, সেখানে নির্যাতিতার নামোল্লেখ রয়েছে। এ নিয়ে আপত্তি তোলেননি স্বয়ং বিলকিসও। এই বিশেষ ও ব্যতিক্রমী ক্ষেত্রে আমরা তাই বিলকিস সংক্রান্ত বিভিন্ন খবরে তাঁর নাম গোপন করছি না)

Bilkis Bano Gujarat High Court

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

এটি একটি প্রিন্ট আর্টিক্‌ল…

  • এমন অনেক খবরই এখন আপনার হাতের মুঠোয়

  • সঙ্গে রোজ পান আনন্দবাজার পত্রিকার নতুন ই-পেপার পড়ার সুযোগ

  • ই-পেপারের খবর এখন শুধুই ছবিতে নয়, টেক্সটেও

প্ল্যান সিলেক্ট করুন

মেয়াদ শেষে নতুন দামে আপনাকে নতুন করে গ্রাহক হতে হবে

Best Value
এক বছরে

৫১৪৮

১৯৯৯

এক বছর পূর্ণ হওয়ার পর আপনাকে আবার সাবস্ক্রিপশন কিনতে হবে। শর্তাবলী প্রযোজ্য।
*মান্থলি প্ল্যান সাপেক্ষে
এক মাসে

৪২৯

১৬৯

এক মাস পূর্ণ হওয়ার পর আপনাকে আবার সাবস্ক্রিপশন কিনতে হবে। শর্তাবলী প্রযোজ্য।