নীতীশ কুমার। ছবি: পিটিআই।
গত রবিবার ‘মহাগঠবন্ধন’ ছেড়ে এনডিএ জোটে যোগ দিয়েছিলেন নীতীশ। ওই দিন সকালে ইস্তফা দিয়ে বিকেলেই বিজেপির সমর্থন নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেন এই জেডিইউ নেতা। নীতীশের সঙ্গেই উপমুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেন বিজেপির দুই বিধায়ক— সম্রাট চৌধরি এবং বিজয় কুমার সিন্হা। মন্ত্রী হিসাবে শপথ নেন অন্যান্যরাও। এ বার বিহার মন্ত্রিসভার সদস্যদের মধ্যে দায়িত্ব বণ্টন করে দিলেন নীতীশ। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, স্বরাষ্ট্র দফতরের দায়িত্ব নিজের হাতেই রাখলেন।
রাজনৈতিক শিবিরের একাংশ অনুমান করেছিলেন যে, এনডিএ জোটের ছোট শরিক হিসাবে জেডিইউকে স্বরাষ্ট্র দফতর ছাড়বে না বিজেপি। বরং রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা রক্ষা এবং পুলিশ-প্রশাসন পরিচালনার ভার নিজেদের হাতেই রাখবে তারা। তবে শনিবার বিহারের মুখ্যসচিবের তরফে মন্ত্রিসভার সদস্যদের মধ্যে দায়িত্ব বণ্টনের যে তালিকা প্রকাশ্যে এসেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে স্বরাষ্ট্র দফতর নিজের হাতে রাখছেন নীতীশ। প্রসঙ্গত, এর আগে যখন নীতীশ এনডিএ জোটের শরিক ছিলেন, তখনও স্বরাষ্ট্র দফতর তাঁর হাতেই ছিল।
বিহারের নয়া এনডিএ মন্ত্রিসভায় ঠাঁই হয়েছে হিন্দুস্তানি আওয়াম মোর্চা বা হামের নেতা জিতনরাম মাঝির পুত্র সন্তোষ কুমার সুমনের। অনগ্রসর সম্প্রদায়ের এই নেতা তথ্যপ্রযুক্তি দফতর এবং তফসিলি জাতি এবং জনজাতি উন্নয়নের দায়িত্ব পেয়েছেন। উপমুখ্যমন্ত্রী সম্রাট চৌধরি বাণিজ্য, নগরোন্নয়ন, পঞ্চায়েতি রাজ দফতরের দায়িত্ব পেয়েছেন। আর এক উপমুখ্যমন্ত্রী বিজয় কুমার সিন্হা কৃষি, পথ নির্মাণ, রাজস্ব দফতরের দায়িত্ব পেয়েছেন।
নীতীশের বিরোধী জোট ছাড়ার জল্পনার মধ্যেই শোনা গিয়েছিল, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জিতনরামের সঙ্গে ইতিমধ্যেই কথা বলেছেন আরজেডি নেতা লালুপ্রসাদ যাদব। হাম-এর চার বিধায়কের সমর্থনের বিনিময়ে নাকি জিতনের ছেলে সুমনকে উপমুখ্যমন্ত্রিত্বের প্রস্তাব দেন তিনি। লালুর এই প্রচেষ্টা ফলপ্রসূ হলে বিহার বিধানসভায় বিজেপি-জেডিইউ জোটকে বাদ দিয়েই সরকার গড়ার কাছাকাছি পৌঁছে যেতে পারত ‘মহাগঠবন্ধন’। কিন্তু শোনা যায় প্রস্তাবে সাড়া দেননি জিতনরাম।
আরজেডি এবং কংগ্রেসের সঙ্গত্যাগের পর রবিবার বিকেলে নবম বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেন নীতীশ। মন্ত্রিসভায় ঠাঁই হয় জেডিইউ-র বিজয় কুমার চৌধরি, শ্রবণ কুমার, বিজেন্দ্র যাদব এবং বিজেপির প্রেম কুমারের। মন্ত্রিসভায় ঠাঁই হয় জিতমরামের পুত্র সুমনের। রাজ্যের একমাত্র নির্দল বিধায়ক সুমিত কুমার সিংহও মন্ত্রী হিসাবে শপথ নেন। বিহার মন্ত্রিসভায় সর্বোচ্চ ৩৫ জন সদস্য থাকতে পারেন। রবিবার নীতীশকে বাদ দিয়ে মোট আট জন মন্ত্রী হিসাবে শপথ নিয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy