এসপি বলেছেন, ‘‘ওই কিশোরের মৃত্যুর ঘটনাকে আত্মহত্যা হিসেবে দেখায়নি পুলিশ। কারণ, ছাদ থেকে পড়ে যাওয়ার আগে রোহিত তার ঠাকুমার সঙ্গে কথা বলেছিল। সেই সময়ে বিষয়টা পুলিশকে জানানো যেত। সেক্ষেত্রে হয়তো তাকে বাঁচানোও যেতে পারত। কিন্তু পরিবারের তরফ থেকে তেমনটা করা হয়নি।’’ মামলা হলে ওই কিশোরের পরিবার চাপের মধ্যে পড়ে যাবে বলেই দাবি করেছেন পুলিশকর্তা।
প্রতীকী ছবি।
গত সেপ্টেম্বরে এক আরটিআই কর্মীকে হত্যা ও সেই ঘটনার তদন্তে ঢিলেমির অভিযোগ। আর গতকালই তাঁর কিশোর পুত্রের রহস্য মৃত্যু নিয়ে কাঠগড়ায় বিহার পুলিশ। চাপের মুখে ৪৭ বছর বয়সি আরটিআই কর্মী বিপিন আগরওয়ালের হত্যা তদন্তের দায়িত্ব আজ সিআইডি-র হাতে তুলে দিয়েছে বিহার সরকার।
গত বছরের ২৪ সেপ্টেম্বর অজ্ঞাতপরিচয় মোটর সাইকেল আরোহীদের গুলিতে নিহত হয়েছিলেন তথ্যের অধিকার কর্মী বিপিন আগরওয়াল। তিনি জমি মাফিয়াদের বিষ নজরে পড়েছিলেন বলেই দাবি স্থানীয়দের। বিহার পুলিশ সেই ঘটনার তদন্ত করছিল। কিন্তু গতকাল বিপিনের ১৪ বছর বয়সি পুত্র রোহিতের রহস্যজনক মৃত্যুকে ঘিরে বিষয়টি নতুন মোড় নিয়েছে। রোহিতের ঠাকুর্দা বিজয় আগরওয়াল অভিযোগ করেছেন, মৃত্যুর আগে ওই কিশোর পূর্ব চম্পারণের জেলা পুলিশ সুপারের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিল। তারপর হতাশ হয়ে বাড়ি ফিরে এক বোতল কেরোসিন নিয়ে ছাদে চলে যায়। বিজয়ের দাবি, তাঁর নাতি নিজের গায়ে কেরোসিন ঢেলেছিল, তার পর ছাদ থেকে পড়ে যায় বিদ্যুতের হাইটেনশন লাইনের উপর। তবে কিশোরের মৃত্যু পরেই পুলিশ তাঁদের পরিবারের উপর চাপ সৃষ্টি করছে ও নিজেদের সুবিধা হয় এমন বিবৃতি দিতে বলছে বলে অভিযোগ বিজয়ের।
পূর্ব চম্পারণ জেলার এসপি কুমার আশিস অবশ্য এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। উল্টে তিনি দাবি করেছেন, ওই কিশোরের মা বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছেন, পা ফস্কে ছাদ থেকে হাইটেনশন লাইনের উপর পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে তাঁর ছেলের। তবে রোহিত গায়ে কেরোসিন ঢালার পর আগুন লাগিয়েছিল কি না, তা স্পষ্ট নয়। এসপি স্বীকার করেছেন, রোহিত বৃহস্পতিবার তাঁর দফতরে এসেছিল। তবে তার সঙ্গে অভদ্র ব্যবহার করা হয়নি বলেই দাবি করেছেন এসপি। তিনি জানিয়েছেন, আরটিআই কর্মীর খুনের ঘটনায় সাত জনকে গ্রেফতার করা হলেও অধৈর্য হয়ে পড়েছিল ওই কিশোর। তবে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে যেহেতু প্রশ্ন উঠেছে, তাই আরটিআই কর্মী খুনের তদন্তের দায়িত্ব সিআইডি-র হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওই পুলিশকর্তা।
এসপি বলেছেন, ‘‘ওই কিশোরের মৃত্যুর ঘটনাকে আত্মহত্যা হিসেবে দেখায়নি পুলিশ। কারণ, ছাদ থেকে পড়ে যাওয়ার আগে রোহিত তার ঠাকুমার সঙ্গে কথা বলেছিল। সেই সময়ে বিষয়টা পুলিশকে জানানো যেত। সেক্ষেত্রে হয়তো তাকে বাঁচানোও যেতে পারত। কিন্তু পরিবারের তরফ থেকে তেমনটা করা হয়নি।’’ মামলা হলে ওই কিশোরের পরিবার চাপের মধ্যে পড়ে যাবে বলেই দাবি করেছেন পুলিশকর্তা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy