প্রেমিকের সঙ্গে মিলে নিজের সন্তানকে অপহরণের অভিযোগ এক মহিলার বিরুদ্ধে। ববিতা দেবী নামে বিহারের ওই মহিলা এবং তাঁর প্রেমিক নীতীশ কুমার ২৫ লক্ষ টাকা মুক্তিপণও চেয়েছিলেন শ্বশুরবাড়ির লোকেদের থেকে। বিহারের ছাপরা জেলার ওই ঘটনায় ইতিমধ্যে দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, প্রাথমিক জেরায় মহিলা অপহরণের অভিযোগ স্বীকার করেছেন। প্রেমিকের সঙ্গে ঘর বেঁধে আলাদা বাড়ি তৈরি করতে চেয়েছিলেন মহিলা। সেই উদ্দেশ্যেই নিজের সন্তানকে অপহরণ করে মুক্তিপণ চেয়েছিলেন বলে অভিযোগ।
প্রাথমিক ভাবে পুলিশ সূত্রে খবর, পটনার বাসিন্দা নীতীশের সঙ্গে বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল ববিতার। নীতীশের সঙ্গে সংসার বাঁধার পরিকল্পনা করেন তিনি। নিজেদের একটি আলাদা বাড়ির কথা ভাবছিলেন তাঁরা। সেইমতো নীতীশের সঙ্গে পরিকল্পনা করেই নিজের ১৩ বছরের ছেলেকে ববিতা অপহরণ করেন বলে অভিযোগ। তার পরে প্রেমিককে দিয়ে বাড়িতে ফোন করান এবং মুক্তিপণ দাবি করেন। মুক্তিপণের টাকা না-মিললে সন্তানকে খুন করে দেওয়া হবে বলেই হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছিল।
আরও পড়ুন:
ওই হুমকি ফোন আসার পরে থানায় গিয়ে অভিযোগ জানান। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে নাবালকের মায়ের উপরে সন্দেহ হয় পুলিশের। তাঁকে পাকড়াও করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করতেই ভেঙে পড়েন মহিলা এবং অপহরণের অভিযোগ স্বীকার করে নেন। তাঁর প্রেমিক নীতীশের কথাও পুলিশকে জানান ববিতা। ববিতাকে জেরা করেই পুলিশ জানতে পারে, দু’জনে মিলে এই পরিকল্পনা করেছিলেন। সেই মতো পটনায় নীতীশের বাড়িতে হানা দেয় পুলিশ। সেখানে থেকেই গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্ত প্রেমিককে। উদ্ধার করা হয় মহিলার সন্তানকেও।