তখনও চলছে ভোটগণনা। ছবি: পিটিআই
১২ ভোটের ব্যবধান তো আছেই। তার সঙ্গে বিহারে খুব কম ভোটের ফারাকে জয়ের নজিরও রয়েছে অনেকগুলি কেন্দ্রে। ৫০০ ভোটের কম পার্থক্য ৭টি আসনে। সেই কারণেই গভীর রাত পর্যন্ত ভোটগণনা ঘিরে ছিল টানটান উত্তেজনা। কারচুপির অভিযোগ তুলে সরব তেজস্বী যাদব ও তাঁর দল আরজেডি-সহ বিরোধীরা। যদিও সে অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। ৩টি কেন্দ্রে পুনর্গণনার দাবি জানিয়েছে বামেরা।
বিহারে ভোটগণনার শেষে এনডিএ ১২৫, ইউপিএ ১১০। আপাতদৃষ্টিতে আসন সংখ্যার এই হিসেব দেখে প্রার্থী এবং গণনাকেন্দ্রের ‘টেনশন’, টানাপড়েন, উত্তেজনার কিছুই বোঝা যাবে না। তার কিছুটা আন্দাজ পাওয়া যাবে নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটের চূড়ান্ত ভোটপ্রাপ্তির হিসেবে চোখ রাখলে। সেখানে দেখা যাচ্ছে ৫০০ ভোটের কম ব্যবধানে জয়-পরাজয় নির্ধারিত হয়েছে ৭টি আসনে।
এলজেপির একমাত্র জয়ী প্রার্থী মাটিহারি কেন্দ্রের রাজকুমার সিংহের জয়ের ব্যবধান ৩৩৩ ভোট। হেরেছেন জেডিইউ-এর নরেন্দ্রকুমার সিংহ। এ ছাড়া বারবিঘাতে ব্যবধান ১১৩, রামগড়ে ১৮৯, ভোরে-তে ৪৬২, দেহ্রিতে ৪৬৪ এবং বাছওয়াড়াতে ৪৮৪। এর মধ্যে বারবিঘা ও ভোরে কেন্দ্রে জেডিইউ, রামগড় ও দেহরিতে আরজেডি প্রার্থীরা জিতেছেন। বাছওয়াড়ায় জিতেছে বিজেপি।
গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ
আরও পড়ুন: মাত্র ১২ ভোটে হিলসায় জয়ী আরজেডি প্রার্থী! কী বললেন ৫ ভোটে হারা সুজন চক্রবর্তী
৫০০ থেকে ১ হাজার ভোটের ব্যবধানে হার-জিত ঠিক হয়েছে চারটি কেন্দ্রে। ১ হাজার থেকে ১ হাজার ৫০০ ভোটের ব্যবধান রয়েছে ৩টি বিধানসভায়। ১৫০০ থেকে ২০০০ ভোটে জয়ী বা পরাজিত প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ হয়েছে, এমন কেন্দ্রের সংখ্যা ৬টি। সব মিলিয়ে ২০ টি কেন্দ্রে জয়ের ফারাক ২ হাজার ভোটের কম।
এত কম ব্যবধানে জয়-পরাজয় নির্ধারিত হওয়ায় ভোটে কারচুপির অভিযোগ তুলেছে আরজেডি। দলের নেতাদের অভিযোগ, তাঁদের প্রার্থীরা অনেক জায়গায় জয়ী হলেও মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের চাপে পড়ে বিজয়ীর সার্টিফিকেট দেয়নি নির্বাচন কমিশন। এমনকি, মঙ্গলবার ১১৯টি কেন্দ্রের জয়ী প্রার্থীদের তালিকাও প্রকাশ করে আরজেডি। পটনায় প্রতিবাদ-বিক্ষোভ হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে নির্বাচন কমিশনে গিয়ে দলের নেতা মনোজ ঝা অভিযোগ করেন, প্রশাসনের উপর বিশ্বাস নেই তাঁদের। কারচুপির অভিযোগ তুলে কংগ্রেস নেতা অখিলেশ সিংহও বলেন, গণনায় অস্বচ্ছতা আছে। কমিশনের কাছে বিচার চাই আমরা।
আরও পড়ুন: নীতীশ কুমারই মুখ্যমন্ত্রী, প্রতিশ্রুতি পালন করবে বিজেপি, ঘোষণা সুশীল মোদীর
কমিশনের তরফে অবশ্য জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, অভিযোগ ভিত্তিহীন। কমিশনের এক প্রতিনিধি বলেন, ‘‘আমাদের উপর কোনও চাপ নেই।’’ বিহারের নির্বাচনে অপ্রত্যাশিত ফল বামেদের। তবু ৩টি আসনে পুনর্গণনার দাবি জানিয়েছে সিপিআই (এমএল)। কমিশনকে চিঠি লিখে দলের পলিটব্যুরো সদস্য কবিতা কৃষ্ণন বলেছেন, গণনার প্রক্রিয়া সন্দেহজনক। তাই ভোরে, আরা এবং দ্বারাউন্ধা কেন্দ্রে পুনর্গণনার করা হোক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy