সাংবিধানিক বেঞ্চে ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলোপ মামলা। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ
কেন্দ্র সরকার ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলোপের ঘোষণা করলেও, তার বৈধতা নিয়ে সিদ্ধান্ত আপাতত ঝুলে রইল সুপ্রিম কোর্টে। বিষয়টি নিয়ে টানাহেঁচড়ায় ‘আন্তঃসীমান্ত প্রতিক্রিয়া’ হতে পারে বলে শীর্ষ আদালতে যুক্তি তুলে ধরেছিলেন কেন্দ্র সরকারের আইনজীবীরা। কিন্তু, সেই যুক্তি খারিজ করে, প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেয়, ‘আমরা জানি কী করতে হবে।’
ওই বিশেষ অনুচ্ছেদ রদের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে একাধিক মামলা হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। বুধবার, তা সরাসরি সাংবিধানিক বেঞ্চে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। একই সঙ্গে, সংবিধানের ওই অনুচ্ছেদ বাতিল নিয়ে কেন্দ্র সরকারের জবাবও তলব করা হয়েছে। আগামী অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহ থেকেই পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চে শুরু হচ্ছে ওই মামলার শুনানি।
গত ৫ অগস্ট সংবিধানের ওই বিশেষ অনুচ্ছেদ রদ করে কেন্দ্র সরকার। সংসদের ভিতরের ওই তরজা পৌঁছেছিল সুপ্রিম কোর্টেও। ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলকে চ্যালেঞ্জ করে এক গুচ্ছ আবেদন জমা পড়ে শীর্ষ আদালতে। এ দিন আদালতে অ্যাটর্নি জেনারেল কেকে বেণুগোপাল বলেন, ‘‘আদালত যা যা বলেছে তা রাষ্ট্রপুঞ্জের কাছে পাঠানো হয়েছে।’’ বিচারপতি এসএ বোবদে ও এসএ নাজির বলেন, ‘‘আমরা জানি কী করতে হবে। আমরা নির্দেশ দিয়েছি। আমরা তা বদল করব না।’’
আরও পড়ুন: উর্দি পরে মমতাকে পা ছুঁয়ে প্রণাম, বিতর্কে আইজি রাজীব মিশ্র
উপত্যকায় সমস্ত রকম যোগাযোগ ব্যবস্থা পুনর্বহাল ও সাংবাদিকদের গতিবিধির উপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবিতে শীর্ষ আদালতে আবেদন করেছিলেন কাশ্মীর টাইমসের এগজিকিউটিভ এডিটর অনুরাধা ভাসিন। নিষেধাজ্ঞার জেরে সংবাদপত্র ছাপা যাচ্ছে না বলেও অভিযোগ করেন অনুরাধা। তাঁর আবেদনের ভিত্তিতেই জম্মু-কাশ্মীর প্রশাসন ও কেন্দ্র সরকারের থেকে সাত দিনের মধ্যে উত্তর চেয়েছে শীর্ষ আদালত। গত ৫ অগস্ট সংবিধানের ওই বিশেষ অনুচ্ছেদ প্রত্যাহারের আগে থেকেই বাড়তি নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয় উপত্যকা। যোগাযোগ ও সংবাদমাধ্যমের উপরেও জারি হয় নিষেধাজ্ঞা।
আরও পড়ুন: কাশ্মীর ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়, মন্তব্য রাহুল গাঁধীর, হিংসার জন্য পাকিস্তানের দিকে আঙুল
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy