ছবি: এপি।
নিষেধাজ্ঞার কবলে থাকা কাশ্মীরে রীতিমতো শাঁখের করাতে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা।
নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন সকাল ছ’টা থেকে আটটা এবং সন্ধে সাতটা থেকে রাত দশটা পর্যন্ত রাস্তার ধারে পসরা নিয়ে বসছিলেন দোকানিদের একাংশ। কিন্তু তাতে বাদ সেধেছে পুলিশ।
এখন সকাল এবং সন্ধের বদলে দুপুরে দোকানপাট খুলতে নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। তাদের ধারণা, দুপুরেও দোকানপাট খোলা থাকলে বোঝানো যাবে যে উপত্যকায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক। সকালে দোকান খোলায় শ্রীনগরের বাটামালু এলাকা থেকে চার জন দোকানিকে পাকড়াও করেছে পুলিশ। আবার সন্ধেয় দোকান খোলায় কামারওয়ারি এলাকা থেকে দু’জন দোকানিকে আটক করা হয়েছে।
শ্রীনগরের সিভিল লাইন্স এবং উপত্যকার অন্য কয়েকটি অংশে গত কয়েক দিন ধরে সকালে পসরা নিয়ে বসছিলেন দোকানিরা। তাঁদের একাংশের দাবি, দোকান লক্ষ্য করে পেট্রল বোমা ছোড়া হয়েছে। হুমকিও দিচ্ছে অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীরা। তবে এখনও এ সব ঘটনা নিয়ে মুখ খোলেনি পুলিশ। গত সপ্তাহে শ্রীনগরের পারিমপোরা এলাকায় এক ব্যবসায়ীকে গুলি করে খুন করে সন্দেহভাজন জঙ্গিরা। পুলিশের কথা মেনে ওই ব্যবসায়ী দুপুরে দোকান খুলেছিলেন। পুলিশের দাবি, জঙ্গিরা তাঁকে দোকান বন্ধ করতে বলে। তিনি জবাবে বলেন, কাশ্মীর আজাদি পেলে তিনি ‘আজাদি ব্রিগেড’-এর নির্দেশ মেনে চলবেন। তার পরেই তাঁকে গুলি করা হয়।
কাশ্মীর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির এক কর্তার কথায়, ‘‘দু’পক্ষের টানাপড়েনের মধ্যে পড়ে গিয়েছি আমরা।’’ তাঁর দাবি, গত কাল পুলিশ জোর করে অনেক দোকানিকে পসরা নিয়ে বসতে চাপ দিয়েছিল। কিন্তু ব্যবসায়ী খুনের পরে কেউ ঝুঁকি নিতে রাজি নয়।
পুলিশ এ নিয়ে মুখ খোলেনি। তবে কাশ্মীরের ডিভিশনাল কমিশনারের দফতরের আধিকারিকদের দাবি, কোনও ব্যবসায়ীকে জোর করা হয়নি। নিষেধাজ্ঞা তোলা হয়েছে। প্রত্যেকের নিজের কাজকর্ম শুরু করা উচিত।
আজ কাশ্মীরের আরও ৯২টি থানা এলাকা থেকে নিষেধাজ্ঞা তোলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সরকারি মুখপাত্র রোহিত কানসাল। গত কাল চালু হয়েছে ২৯টি টেলিফোন এক্সচেঞ্জ। তিনি জানিয়েছেন, উপত্যকায় ৪ হাজার স্কুল খুলেছে। তবে পড়ুয়াদের উপস্থিতির হার যে নগণ্য তা মেনে নিয়েছেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy