আবার বিতর্কিত মন্তব্য বিজেপি সাংসদ প্রজ্ঞা সিংহ ঠাকুরের। —ফাইল ছবি।
আবারও বিতর্কিত মন্তব্য বিজেপি সাংসদ প্রজ্ঞা সিংহ ঠাকুরের। শিবরাজ সিংহ চৌহানের নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকারকে বিপাকে ফেলে তিনি জানান, তাঁর দত্তক নেওয়া তিনটি গ্রামের গরিব বাসিন্দারা পুলিশের ‘ঘুষ’ মেটাতে নিজেদের মেয়ে বিক্রি করতে বাধ্য হন। পাল্টা তোপ দেগে কংগ্রেস বলছে, মধ্যপ্রদেশের রাজধানী ভোপালের দুরাবস্থা নিজেই তুলে ধরেছেন বিজেপি সাংসদ। সরকার যে সব বড় বড় দাবি করে, সব মিথ্যা। বিষয়টি নিয়ে প্রজ্ঞার উপর অসন্তুষ্ট মধ্যপ্রদেশের বিজেপি সরকার।
শনিবার ব্যবসায়ী সংগঠনের একটি কর্মসূচিতে যোগ দেন ভোপালের সাংসদ প্রজ্ঞা। সেখানেই তিনি জানান, যে তিনটি গ্রাম দত্তক নিয়েছিলেন, সেখানকার বাসিন্দারা খুব গরিব। সংসার চালাতে চোলাই মদ তৈরি করে বিক্রি করেন। পুলিশকে ঘুষ দিতে নিজেদের সন্তানদের পর্যন্ত বিক্রি করতে বাধ্য হন ওই গরিব মানুষরা। প্রজ্ঞার কথায়, ‘‘ওই গ্রামের বাসিন্দারা খুব গরিব। ওঁরা চোলাই তৈরি করে বিক্রি করেন। এই পরিস্থিতিতে পুলিশ যখন ওঁদের ধরে, তখন ঘরের লোককে ছাড়ানোর জন্য নিজেদের মেয়ে বিক্রি করে পুলিশকে টাকা দিতে বাধ্য হন ওঁরা।’’
প্রসঙ্গত, সাংসদরা প্রতি বছর একটি করে গ্রাম দত্তক নিয়ে তার উন্নয়নে সাহায্য করেন। সেই নীতিতেই প্রজ্ঞাও তিনটি গ্রাম দত্তক নিয়েছেন।
প্রজ্ঞার এই মন্তব্যের পর মাঠে নেমে পড়ে বিরোধী কংগ্রেস। তাদের মুখপাত্র তথা রাজ্য মহিলা কমিশনের সদস্য সঙ্গীতা শর্মা বলেন, ‘‘এটা খুব দুঃখজনক, ধিক্কার জানাই। ১৮ বছর ধরে ক্ষমতায় রয়েছে শিবরাজ সিংহ চৌহানের সরকার। বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও প্রকল্প নিয়ে বড় বড় কথা বলে, অথচ রাজ্যের রাজধানী ভোপালের এই অবস্থা। বাস্তবটা তুলে ধরছেন খোদ বিজেপি সাংসদ। এখান থেকে স্পষ্ট, মধ্যপ্রদেশ সরকার যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, সে সব মিথ্যা।’’ সঙ্গীতা এ-ও দাবি করেন যে, বিক্রি হয়ে যাওয়া শিশুদের নাম প্রকাশ করতে হবে প্রজ্ঞাকে।
মধ্যপ্রদেশ সরকার প্রজ্ঞার এই মন্তব্যে বেশ চটেছে। রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নরোত্তম মিশ্র জানিয়েছেন, প্রজ্ঞা তাঁদের দল এবং পরিবারের। এই বিষয়ে তাঁর কোনও তথ্য থাকলে সরকারকে জানানো উচিত ছিল। তার পর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy