কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি ভোপালের ইঞ্জিয়ানিয়ারের। ছবি: সংগৃহীত।
কন্যা কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক। কিন্তু তাঁর পরিবারের ‘দিন আনতে পান্তা ফুরোনোর’ অবস্থা। আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন সম্পত্তির মামলায় সম্প্রতি গ্রেফতার হয়েছেন মধ্যপ্রদেশের ভোপালের হাউসিং কর্পোরেশনের সহকারী ইঞ্জিনিয়ার হেমা মীনা।
জেরায় তাঁর আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন এই বিপুল সম্পত্তিক উৎস জানতে চেয়েছিলেন তদন্তকারীরা। তাঁদের কাছে হেমা দাবি করেন, এই সম্পত্তি নাকি তাঁর বাবা এবং ভাই দান করেছেন। আর এখানেই সন্দেহ আরও গাঢ় হয় তদন্তকারীদের। হেমা সঠিক তথ্য দিচ্ছেন কি না, তা খতিয়ে দেখতে তাঁর পৈতৃক বাড়িতে গিয়েছিলেন তদন্তকারীরা। সেখানে গিয়ে স্তম্ভিত হয়ে যান তাঁরা। যে কন্যার কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি, কোটি টাকার বাংলো, সুবিশাল খামারবাড়ি, ৫০-৬০ জন পরিচারক-পরিচারিকা, তাঁর ঠিক বিপরীত ছবি ধরা পড়েছে হেমার পৈতৃক বাড়িতে।
জীর্ণ বাড়ি। চেহারা দেখেই বোঝা যায় অভাব আর অনটন এই পরিবারের নিত্য দিনের সঙ্গী। বাড়িতে পলেস্তরাও করা হয়নি। ইটগুলি যেন ‘দাঁত’ বার করে তাকিয়ে রয়েছে। বাড়ির সর্বত্র দারিদ্রের ছাপ। টাকা না থাকায় একচিলতে জমিতে ইট গেঁথে গেঁথে হেমার ভাই মাথা গোঁজার ঠাঁই তৈরি করেছেন। মা-বাবার সঙ্গে হেমার ভাই থাকেন। তদন্তকারীদের হেমার পরিবারের সদস্যেরা জানিয়েছেন, কন্যা বিপথে যাচ্ছে দেখে আগেই তাঁর সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করেছেন তাঁরা। তাই হেমার বিলাসবহুল বাড়িতে পরিবারের কারও প্রবেশের অনুমতি ছিল না। এই বিশাল ফারাক দেখে তদন্তকারীদের বুঝতে অসুবিধা হয়নি যে, হেমা তাঁদের কাছে যে দাবি করেছেন সেটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। বরং বাবার নামে কয়েক কোটি টাকার সম্পত্তি কিনেছেন তিনি। শুধু তাই-ই নয়, তাঁর নামে জমি কেনা হলেও, হেমার বাবার দাবি, এ সম্পর্কে বিন্দুমাত্র জানতেন না তিনি।
৩০ হাজার টাকা বেতনপ্রাপ্ত হেমার বিপুল সম্পত্তি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। অল্প সময়ের মধ্যে কী ভাবে এই বিপুল সম্পত্তির অধিকারী হয়ে উঠলেন, তা নিয়ে অভিযোগও দায়ের হয়। তার পরই লোকায়ুক্ত পুলিশ হেমার বিরুদ্ধে তদন্তে নামে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy