Advertisement
E-Paper

‘ছেলেটার উপর অত্যাচার করত ওরা’, বিমানবন্দরে চিৎকার অতুলের মায়ের, পড়ে গেলেন জ্ঞান হারিয়ে

৯ ডিসেম্বর বেঙ্গালুরুতে উদ্ধার করা হয় ৩৪ বছরের ইঞ্জিনিয়ার অতুল সুভাষের দেহ। ২৪ পাতার সুইসাইড নোট লিখে, দেড় ঘণ্টার ভিডিয়ো রেকর্ড করে তিনি আত্মহত্যা করেন।

মায়ের সঙ্গে অতুল সুভাষ, ৯ ডিসেম্বর বেঙ্গালুরুতে আত্মঘাতী হয়েছেন যিনি।

মায়ের সঙ্গে অতুল সুভাষ, ৯ ডিসেম্বর বেঙ্গালুরুতে আত্মঘাতী হয়েছেন যিনি। ছবি: সংগৃহীত।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৯:৪৮
Share
Save

বেঙ্গালুরুতে আত্মঘাতী ইঞ্জিনিয়ার অতুল সুভাষের মা বিমানবন্দরে সংজ্ঞা হারিয়ে পড়ে গিয়েছেন। তার আগে চিৎকার করে ছেলের জন্য বিচার চেয়েছেন তিনি। পুত্রবধূ এবং তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে ছেলের উপর অত্যাচারের অভিযোগ তুলেছেন। তাঁর দাবি, অত্যাচার করে করে তাঁর ছেলেকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে।

বেঙ্গালুরুতে ৯ ডিসেম্বর উদ্ধার করা হয় ৩৪ বছরের অতুলের দেহ। স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের মামলা চলছিল তাঁর। স্ত্রী এবং শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে যুবক আত্মঘাতী হয়েছেন। মৃত্যুর আগে লিখে রেখে গিয়েছেন ২৪ পাতার একটি সুইসাইড নোট। এ ছাড়া, দেড় ঘণ্টার একটি ভিডিয়োও রেকর্ড করে গিয়েছেন অতুল। সেখানে স্ত্রী এবং তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ করেছেন। তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ।

অতুল উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা, কর্মসূত্রে থাকতেন বেঙ্গালুরুতে। বুধবার পটনা বিমানবন্দর থেকে বেঙ্গালুরুর উদ্দেশে রওনা দেন তাঁর বাবা-মা। বিমানবন্দরে সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের মুখে হাউ হাউ করে কেঁদে ফেলেন অতুলের মা। তিনি বলেন, ‘‘ওরা সবাই মিলে আমার ছেলেটার উপর অত্যাচার করত। এতই অত্যাচার করত যে, ছেলে আমাদের কিছু বলত না। আমাদের কাছে চেপে যেত। ও চাইত না, আমরা কষ্ট পাই।’’ ছেলের এই মৃত্যুকে কি ‘খুন’ হিসাবে দেখছেন? অতুলের মায়ের জবাব, ‘‘অত্যাচার করে মৃত্যুর পথে ঠেলে দেওয়া খুনেরই সমান।’’ এর পরেই মাথা ঘুরে পড়ে যান তিনি। পড়ে যাওয়ার আগে তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘‘আমার বিচার চাই।’’

সুইসাইড নোটে অতুল জানিয়েছেন, গত এক বছর ধরে আদালতে এবং তার বাইরে লড়াই চালিয়ে যেতে হচ্ছে তাঁকে। তাঁর স্ত্রী তাঁর বিরুদ্ধে পণ চাওয়া, অস্বাভাবিক যৌনতা এবং খুনের চেষ্টার মিথ্যা মামলা সাজিয়েছেন, চিঠিতে লিখেছেন অতুল। বিবাহবিচ্ছেদে মোটা অঙ্কের টাকাও তাঁর কাছ থেকে দাবি করা হয়েছে। মানসিক নির্যাতন সইতে না পেরেই আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।

অতুলের ভাইয়ের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ মামলা রুজু করেছে। অতুলের স্ত্রী নিকিতা এবং তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার একাধিক ধারায় মামলা হয়েছে। রয়েছে ১০৮ নম্বর ধারাটিও, যা আত্মহত্যায় প্ররোচনার ধারা এবং তা জামিন-অযোগ্য। নিকিতা এবং তাঁর পরিবারকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে উত্তরপ্রদেশে গিয়েছে বেঙ্গালুরু পুলিশের একটি দল।

Bengaluru Engineer Death News Mother-Son

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}