Advertisement
২৬ নভেম্বর ২০২৪

কেটারিং ব্যবসা ছাড়ায় শেফকে খুন করে দেহ পুড়িয়ে দেন প্রাক্তন সঙ্গী! ধৃত তিন অভিযুক্ত

আট বছর আগে সতীশের সঙ্গে মিলে কেটারিং ব্যবসা খুলেছিলেন আনন্দ। মূলত তাঁর রান্নার গুণেই ব্যবসায় মুনাফা হচ্ছিল। তবে গত বছর সতীশের থেকে আলাদা হয়ে নিজের কেটারিং ব্যবসা শুরু করেছিলেন আনন্দ।

Representational Image of Arrested person

—প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
বেঙ্গালুরু শেষ আপডেট: ১০ জুলাই ২০২৩ ১৫:০০
Share: Save:

কেটারিং ব্যবসায় যুক্ত বেঙ্গালুরুর এক রন্ধনশিল্পীকে খুন করে দেহ পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল তাঁর প্রাক্তন অংশীদার-সহ তিন জনের বিরুদ্ধে। গত সপ্তাহে তিন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে রবিবার জানিয়েছে বেঙ্গালুরু পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে খবর, বেঙ্গালুরুর বাসিন্দা তথা শেফ আনন্দ কুমার (৩৮)-কে খুনের অভিযোগে সতীশ কুমার, শিবকুমার ওরফে পাট্টা এবং দেবরাজকে ৩ জুলাই গ্রেফতার করা হয়েছে। তিরিশের কোঠায় থাকা এই অভিযুক্তেরা শহরের চিক্কাবিদারকুল্লু এলাকার বাসিন্দা। তাঁদের বিরুদ্ধে প্রমাণ লোপাটের অভিযোগও আনা হয়েছে।

বেঙ্গলুরু পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, আট বছর আগে সতীশের সঙ্গে মিলে কেটারিং ব্যবসা খুলেছিলেন আনন্দ। প্রধান শেফ হিসাবে ব্যবসায় যুক্ত ছিলেন তিনি। মূলত তাঁর রান্নার গুণেই ব্যবসায় মুনাফা হচ্ছিল। ব্যবসা সামলাতে নিজের শ্যালক দেবরাজকে কাজে নিয়োগ করেছিলেন সতীশ। তবে গত বছর সতীশের থেকে আলাদা হয়ে নিজের কেটারিং ব্যবসা শুরু করেছিলেন আনন্দ। এর পরই সতীশের ব্যবসা মার খেতে শুরু করে।

পুলিশের অভিযোগ, আনন্দের তৈরি রান্নার গুণেই পুরনো গ্রাহকেরা তাঁর সংস্থা থেকে খাবারের অর্ডার দিতে শুরু করেছিলেন বলে মনে করতেন সতীশ। লোকসানের আশঙ্কায় আনন্দকে নিজের ব্যবসায় টেনে আনতে চেয়েছিলেন তিনি। তবে সতীশের প্রস্তাবে রাজি হননি আনন্দ। এর পরেই তাঁকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দেওয়ার ছক কষেন। এই ষড়যন্ত্রে দেবরাজ ছাড়াও শিবকুমারকে শামিল করেছিলেন সতীশ। ২ জুলাই আনন্দকে একটি নির্জন জায়গায় নিয়ে যান সতীশরা। সেখানে বসে চার জনে মিলে মদ্যপান করেন। এর পর সেখানেই নেশাগ্রস্ত আনন্দকে খুন করেন তাঁরা। আনন্দের মাথায় বার বার আঘাত করে থেঁতলে দেন সতীশরা। এর পর প্রমাণ লোপাটের জন্য তাঁর দেহ পুড়িয়ে দেন।

পুলিশ সূত্রে খবর, স্বামী বাড়ি না ফেরায় পরের দিন নিখোঁজ ডায়েরি করেছিলেন আনন্দের স্ত্রী। তদন্তে নেমে একটি দগ্ধ দেহ উদ্ধার করেন পুলিশ আধিকারিকেরা। তবে দেহটি শণাক্ত করা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছিল। যে এলাকায় দেহটি উদ্ধার করা হয়েছিল, সেখানকার আশপাশের বিল্ডিংয়ের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ় সংগ্রহ করে তদন্তকারীরা দেখেন, সতীশদের সঙ্গে ওই এলাকায় যাচ্ছেন আনন্দ। এর পর তাঁকে খুনের অভিযোগে সতীশদের গ্রেফতার করে পুলিশ।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy