Advertisement
২৫ নভেম্বর ২০২৪

বরাক-ব্রহ্মপুত্রের বাঙালিরা অসমের ‘ভূমিপুত্র’ই, দাবি

বাঙালি ঐক্য মঞ্চের নেতা শান্তনু মুখোপাধ্যায় জানান, অসম নামকরণের অনেক আগে থেকেই বাঙালিরা সিলেট, কামরূপ, গোয়ালপাড়ার বাসিন্দা। বাঙালিরাও যে অসমের ভূমিপুত্র তা ঐতিহাসিক সত্য।

ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
গুয়াহাটি শেষ আপডেট: ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০৪:২৯
Share: Save:

অসম চুক্তির ছ’নম্বর ধারা রূপায়ণের জন্য কেন্দ্রের গঠিত উচ্চপর্যায়ের কমিটি সকলের মতামত চেয়েছিল। অসমের বিভিন্ন বাঙালি সংগঠনের তরফে পৃথক স্মারকলিপি জমা দিয়ে দাবি করা হয়েছে, অসমে ৮০ লক্ষাধিক বাঙালি থাকলেও কমিটিতে বরাক বা ব্রহ্মপুত্রের একজন বাঙালি প্রতিনিধিকেও রাখা হয়নি। ফলে এই কমিটির গঠনই অসম্পূর্ণ। সংগঠনগুলির দাবি, চুক্তিতে ‘অসমিয়া’ শব্দ থাকলেও কমিটির বিজ্ঞপ্তিতে ‘ভূমিপুত্র’ ও অন্য শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে। তা চলবে না বলে তাদের দাবি। অসমে জন্ম হওয়া বাঙালিদের ‘অসমিয়া’ বলেই গণ্য করতে হবে।

বাঙালি ঐক্য মঞ্চের নেতা শান্তনু মুখোপাধ্যায় জানান, অসম নামকরণের অনেক আগে থেকেই বাঙালিরা সিলেট, কামরূপ, গোয়ালপাড়ার বাসিন্দা। বাঙালিরাও যে অসমের ভূমিপুত্র তা ঐতিহাসিক সত্য। তাঁরা স্মারকলিপিতে অসম সরকারের দেওয়া শ্বেতপত্র, সুপ্রিম কোর্টের বক্তব্য, বিধানসভার কমিটির উল্লেখ করে দাবি করেন, ‘অসমিয়’ শব্দের অর্থ যাঁদের মাতৃভাষা অসমীয়া বা যাঁরা অসমীয়া ভাষায় কথা বলেন, তা হতে পারে না। কারণ রাজ্যের আদি জনজাতিদের সকলেই অন্য ভাষাভাষী।

প্রশ্ন উঠেছে, এনআরসিতে নাম বাদ পড়া মানুষের সংখ্যা মাত্র ৬ শতাংশ। তাঁদেরও সকলে তথাকথিত ‘বহিরাগত’ নন। তাহলে ৬ শতাংশেরও কম সংখ্যক মানুষ কী ভাবে অসমের ভাষা ও সংস্কৃতির পক্ষে বিপজ্জনক হতে পারে? অসমের বড়ো, ডিমাসা, মিসিং, রাভা, টিওয়ারা কিন্তু নিজেদের সংস্কৃতি অক্ষুণ্ণই রেখেছে। তাঁদের দাবি, অসম চুক্তি অনুযায়ী, ‘অসমিয়া’র সংজ্ঞা জাতি বা ভাষাভিত্তিক হওয়া উচিত নয়। কারণ, ‘অসমিয়া জাতি’ বলে কিছুই কোনও দিন ছিল না।

বাঙালি পরিষদের সভাপতি শান্তনু সান্যালের বক্তব্য, অসম চুক্তির ১০ ও ১১ ধারায় জমি কেনা ও জনজাতিদের জমি সুরক্ষিত করার কথা রয়েছে। ৬ নম্বর ধারায়য় অনর্থক জমির অধিকারের প্রসঙ্গ বাদ দিতে হবে। একই দাবি আমসুরও। বরাকের সংগঠনগুলির দাবি, আসু কেন্দ্রের সঙ্গে অসম চুক্তি স্বাক্ষর করলেও সেখানে অসমের অন্য জনজাতি বা বরাকের যোগ ছিল না। তা হলে কেন অসম চুক্তির প্রভাব তাঁদের উপরে পড়বে? তাদের কথায়, ‘‘ঐতিহাসিক ভাবে রংপুর, গোয়ালপাড়া, খাসি, গারো পাহাড়, ডিমা হাসাও, কাছাড়, সিলেট সবই ‘সুবে বাংলা’র অন্তর্গত ছিল। তাই অসম ও উত্তর-পূর্বের বাঙালিরাও অবশ্যই ‘ভূমিপুত্র’।’’

অন্য বিষয়গুলি:

NRC Assam
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy