সন্ধ্যাবেলায় বারাণসীর ঘাটে আলোর মালা। —নিজস্ব চিত্র।
বারাণসীর বাঙালিবাবুদের কি মনখারাপ? সবই তো রয়েছে বাঙালির প্রিয় সেই পুরনো বারাণসীতে। দশাশ্বমেধ ঘাট, মণিকর্ণিকা ঘাট, দ্বারভাঙা ঘাট, অলিগলিতে হারানো পথের ধারে দোতলা বাড়ি, তার পাশেই দোকানের ঘন লস্যি, মাটির ভাঁড়ের ছাঁচ, শৌখিন বারাণসী পান, জরির কাজের শাড়ি। আলো নামতেই এখনও সেই আগের মতোই দশাশ্বমেধ ঘাটে শুরু হয় সন্ধ্যারতি। তা-ও যেন সব থেকেও কিছু একটা নেই! সেই প্রিয় শহর থেকেই যে একে একে বিদায় নিচ্ছেন বাঙালিরা। এক সময় শহরের ৪০ শতাংশ বাঙালির সংখ্যা কমতে কমতে নেমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ১৫ শতাংশে।
বারাণসী দক্ষিণের বিধায়ক শ্যামদেব রায়চৌধুরী জানালেন, এক সময় পশ্চিমবঙ্গের বাঙালিদের শখের আস্তানা ছিল বারাণসী। তিনি বলেন, “অনেকেই এখানে বাড়ি তৈরি করে ফেলে রেখে দিতেন। কোনও কোনও সময় এখানে ছুটি কাটাতে এলেও বছরের বাকি সময়টা তা খালি পড়ে থাকত।” কিন্তু, সে রামও নেই আর সে রাজত্বও নেই! নতুন প্রজন্মের বাঙালিরা স্কুলের পাট চুকিয়েই জীবিকার সন্ধানে পাড়ি দিচ্ছে অন্যত্র। কারণটা জানালেন বারাণসীর বাসিন্দা তরুণকুমার মুখোপাধ্যায়। তাঁর মতে, এ শহরে কমে আসছে রু়জিরোজগারের পরিধি। তা ছাড়া, সম্পত্তির চেয়ে প্রাণের দাম যে অনেক বেশি!
সত্যজিৎ রায়ের ‘জয় বাবা ফেলুনাথ’ ছবির শুটিংয়ে মগনলাল মেঘরাজবেশী উৎপল দত্ত।
পর্দায় নয়, বাস্তবের মাটিতে দাঁড়িয়েই মগনলাল মেঘরাজেরা এখন সত্যিই ভয় দেখাচ্ছে বাঙালিদের। পুরনো বাড়ি দেখলেই তা হাতিয়ে নেওয়ার জন্য আসছে হুমকির পর হুমকি। তরুণবাবু জানালেন, এ শহর ছাড়তে বাঙালিদের বাধ্য করা হচ্ছে। ফলে জলের দরে বাড়ি বেচে অন্য জায়গায় পাড়ি দিচ্ছেন তাঁরা।
আরও পড়ুন: প্যান্ডোরার বাক্সে যখের ধন অচল, মাথায় হাত বৃদ্ধের
দেখুন ভিডিও:
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy