আপাতত বিচারবিভাগীয় হেফাজতেই থাকতে হবে কন্নড় অভিনেত্রী রান্যা রাওকে। সোনা চোরাচালান মামলায় ধৃত রান্যার জামিনের আবেদন বৃহস্পতিবার খারিজ করল বেঙ্গালুরুর দায়রা আদালত। আদালতে তদন্তকারী সংস্থা ডিরেক্টরেট অফ রেভেনিউ ইন্টেলিজেন্স (ডিআরআই) আবেদনের বিরোধিতা করে দাবি করে বলেছিল, জামিন পেলে রান্যা দেশ ছেড়ে পালাতে পারেন। তার পরেই খারিজ হল রান্যার জামিনের আবেদন। এর আগে অভিনেত্রীর জামিনের আবেদন খারিজ হয়েছে নিম্ন আদালতে। এ বার অভিনেত্রীর হয়ে তাঁর আইনজীবীরা হাই কোর্টে জামিনের আবেদন করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে সূত্রের খবর।
দুবাই থেকে ফেরার সময় বেঙ্গালুরু বিমানবন্দরে রান্যাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তাঁর কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছিল প্রায় সাড়ে ১২ কোটি টাকার সোনা। সেই থেকে তিনি জেলবন্দি। প্রথমে ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে জামিনের আর্জি জানিয়েছিলেন রান্যা। সেই আবেদন খারিজ হয়েছে। গত ১৪ মার্চ রান্যার জামিনের আবেদন খারিজ করে স্পেশ্যাল কোর্ট ফর ইকোনমিক অফেন্স।
আরও পড়ুন:
এ বার বেঙ্গালুরুর দায়রা আদালতেও খারিজ হল রান্যার জামিনের আবেদন। সেখানে তদন্তকারী সংস্থা ডিরেক্টরেট অফ রেভেনিউ ইন্টেলিজেন্স (ডিআরআই) তাঁর জামিনের আবেদনের বিরোধিতা করে দাবি করে, এই সোনাপাচার মামলায় আন্তর্জাতিক চক্রের যোগ রয়েছে। পরিসংখ্যান বলছে, এক বছরে ২৭ বার বিদেশে গিয়েছেন রান্যা। সে সময়ে অভিনেত্রী শুল্ক দফতরের পণ্যনীতিও ভেঙেছেন বলে আদালতে দাবি করেছে তদন্তকারী সংস্থা। তদন্তকারীদের একাংশ মনে করছেন, এত বার বিদেশে যাতায়াতের সময়ে সোনাপাচার করে থাকতে পারেন রান্যা। আদালতে ডিআরআইয়ের দাবি, তদন্তের এই অবস্থায় রান্যা জামিন পেলে প্রমাণ লোপাট করতে পারেন। তাদের আরও অভিযোগ, বিদেশ থেকে সোনা আনার সময় শুল্ক দেননি রান্যা। এর ফলে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রায় চার কোটি ৮৩ লক্ষ টাকা ক্ষতি হয়েছে। জামিন পেলে রান্যা দেশ ছেড়ে পালাতে পারেন, সাক্ষীদের প্রভাবিত করতে পারেন বলেও আদালতে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে ডিআরআই। তাদের আবেদন মেনে রান্যার জামিন খারিজ হয়েছে আদালতে।