গ্রাফিক: তিয়াসা দাস
রায়ের ২৪ দিনের মাথায় অযোধ্যা নিয়ে প্রথম মামলা দায়ের হল সুপ্রিম কোর্টে। অযোধ্যা মামলার রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়ে মামলা দায়ের করল জমিয়তে উলেমায়ে হিন্দ। সংগঠনের প্রধান মওলানা আর্শাদ মাদানির দাবি, দেশের মুসলিমদের সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশই এই রায় পুনর্বিবেচনার পক্ষে মত দিয়েছেন। প্রায় একই দাবি করে রিভিউ পিটিশনের প্রস্তুতি নিচ্ছে অল ইন্ডিয়া পার্সোনাল ল বোর্ডও। দু’পক্ষেরই রায় পুনর্বিবেচনার আর্জির সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছেন কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু উন্নয়ন বিষয়ক মন্ত্রী মুখতার আব্বাস নকভি।
মামলা দায়ের হওয়ার পর জমিয়তের শীর্ষ নেতা মাদানির দাবি, ‘‘আদালতই আমাদের অধিকার দিয়েছে মামলা করার, তাই মামলা দায়ের করা হয়েছে।’’ তিনি বলেন, ‘‘অযোধ্যা মামলায় বিতর্কের মূল বিষয়বস্তু ছিল মন্দির ধ্বংস করে মসজিদ তৈরি হয়েছিল কি না। শীর্ষ আদালত তার পর্যবেক্ষণে বলেছে, মন্দির ধ্বংস করেই যে মসজিদ তৈরি হয়েছিল, এমন কোনও প্রমাণ নেই। সুতরাং মুসলিমদের অধিকার প্রমাণিত। অথচ চূড়ান্ত রায় এর বিপরীতধর্মী। আমরা রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়েছি কারণ, রায় বোধগম্য হয়নি।’’ যদিও পাঁচ একর জমি মুসলিম পক্ষকে দেওয়ার যে রায় আদালত দিয়েছে, জমিয়ত সেটা মেনে নেবে কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
গত ৯ নভেম্বর ঐতিহাসিক অযোধ্যা মামলার রায় দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ-এর নেতৃত্বে পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চের রায়ের প্রধান বক্তব্য ছিল, অযোধ্যার মূল বিতর্কিত ২.৭৭ একর জমিতে রাম মন্দির তৈরিতে কোনও বাধা নেই। মুসলিমদের মসজিদ তৈরির জন্য ওই বিতর্কিত জমির বাইরে ৫ একর জমি দিতে হবে সরকারকে।
আরও পড়ুন: বিস্ফোরণ পঙ্কজা মুন্ডের, টুইটারে পরিচয় থেকে সরালেন বিজেপির নাম, মহারাষ্ট্রে জোর গুঞ্জন
এই রায় নিয়ে মুসলিম সম্প্রদায়ের একাংশের মধ্যে তখন থেকেই অসন্তোষ ছিল। তবে মামলাকারীদের অন্যতম পক্ষ সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড জানিয়ে দেয়, রায় পুনর্বিবেচনার আর্জিতে মামলা করবে না তাদের সংগঠন। অন্য কোনও পক্ষও প্রথম দিকে এ নিয়ে উচ্চবাচ্য করেনি। তবে সময় গড়াতেই মামলার প্রস্তুতি শুরু হয়। শেষ পর্যন্ত সোমবার মামলা দায়ের করল জমিয়তে উলেমায়ে হিন্দ।
প্রায় একই দাবি নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছে অল ইন্ডিয়া পার্সোনাল ল বোর্ডও। সেই মামলাও দায়ের হতে পারে এই সপ্তাহেই। রবিবার সংগঠনের নেতারা জমিয়তের সুরেই কথা বলেছিলেন। তাঁদের বক্তব্য, ‘‘অযোধ্যা রায়ের পর থেকেই বিশ্বাস দুর্বল হচ্ছে। দেশের ৯৯ শতাংশ মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষই রিভিউ পিটিশনের পক্ষে।’’
আরও পড়ুন: পিটিয়ে মারা উচিত, তেলঙ্গানা নিয়ে আইন হাতে তোলার সওয়াল জয়া বচ্চনের, সংসদে দাঁড়িয়েই
তবে এই সিদ্ধান্তে কেন্দ্র যে অসন্তুষ্ট, তা স্পষ্ট করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মুখতার আব্বাস নকভি। দুই সংগঠনের অবস্থানকেই সমালোচনা করে তাঁর বক্তব্য, দুই সংগঠনই বিভাজন ও বিবাদের পরিবেশ তৈরি করছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy