রামমন্দির তৈরির শেষ পর্বের কর্মব্যস্ততা। —ফাইল চিত্র।
আগামী ২২ জানুয়ারি অযোধ্যার রামমন্দিরের রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা হতে চলেছে। রামমন্দির নির্মাণের আবেগকে তুঙ্গে নিয়ে যেতে ১৪ জানুয়ারি থেকে বিশেষ ধর্মীয় কর্মসূচি হাতে নিতে চলেছে যোগী আদিত্যনাথের সরকার। পাশাপাশি ঠিক হয়েছে ২২ জানুয়ারি দিনটিতে গোটা রাজ্যে উৎসব পালন করা হবে। ওই দিনটিতে সরকারি ছুটি ঘোষণার কথাও চিন্তাভাবনা করছে উত্তরপ্রদেশ প্রশাসন।
যোগী প্রশাসন জানিয়েছে, আগামী ১৪ জানুয়ারি থেকেই রাজ্যের সব মন্দির ও মঠে ভজন-কীর্তন শুরু হয়ে যাবে। তার দায়িত্বে থাকবেন রাজ্যের শিল্পীরাই। ২২ জানুয়ারি প্রাণ প্রতিষ্ঠার দিন মন্দিরে-মন্দিরে রামচরিতমানস ও হনুমানচালিশা পাঠ করা হবে। গাওয়া হবে রামভজনও। ওই দিনটি রাজ্যে বিশেষ উৎসবের দিন হিসাবে পালন করা হবে। আগামী ২২ জানুয়ারির পরেও টানা প্রায় দেড় মাস একাধিক ধর্মীয় কর্মসূচি হাতে নিয়েছেন মন্দির কর্তৃপক্ষ। যা থেকে স্পষ্ট, উত্তরপ্রদেশের মতো রাজ্যে রামমন্দিরকে সামনে রেখে ধারাবাহিক ভাবে ধর্মীয় অনুষ্ঠানের বাতাবরণ তৈরি করে হিন্দু ভাবাবেগকে উস্কে দিতে পরিকল্পনা করেছে গেরুয়া শিবির। যাতে হিন্দু ভোটের মেরুকরণের মাধ্যমে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে ভাল ফল করতে পারে বিজেপি।
গোটা গোবলয়ের রাজ্যগুলিতে রাম মন্দিরকে ঘিরে নতুন করে ধর্মীয় আবেগ উস্কে দেওয়ার কৌশল নিয়েছে বিজেপি। রাম মন্দির প্রতিষ্ঠাকে সামনে রেখে বিহার, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থানের মতো রাজ্যগুলিতে ভাল ফলের জন্য বহু পরিকল্পনা নিয়েছে গেরুয়া সংগঠনগুলি। হিন্দু ভোটের মেরুকরণের লক্ষ্যে মন্দির নির্মাণের আগে ও পরে মূলত গো-বলয়ের রাজ্যের বাসিন্দাদের কার্যত নিখরচায় রাম মন্দির দর্শনে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে বিজেপি, সঙ্ঘ পরিবার ও বিশ্ব হিন্দু পরিষদের মতো দলগুলি। বিজেপি মনে করছে, রাম মন্দির নির্মাণ নিয়ে দেশজুড়ে হিন্দুত্বের হাওয়া যত উঠবে, তত সরকারের সব ব্যর্থতা চাপা দিয়ে ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে ভাল ফল করা সহজ হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy