আগামী ২ মে থেকে খুলে যাচ্ছে কেদারনাথ ধামের দরজা। বদ্রীনাথ-কেদারনাথ মন্দির কমিটি (বিকেটিসি) শুক্রবার এ কথা জানিয়েছে। তাদের বিশেষজ্ঞ দল কেদারনাথে গিয়ে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার পরেই এই সিদ্ধান্ত। শুক্রবার সন্ধ্যায় ওই দলের প্রতিনিধিরা কেদারনাথে পৌঁছেছেন। তাঁদের কাছ থেকে তথ্য পাওয়ার পর বিকেটিসি ঘোষণা করে, কেদারনাথ ২ তারিখ থেকে খোলা হবে। তারা জানিয়েছে, কেদারনাথের পর বদ্রীনাথ ধামের দরজা খোলা হবে ৪ মে। অর্থাৎ, মে মাসের শুরু থেকেই এ বছরের চারধাম যাত্রা শুরু হয়ে যাচ্ছে।
বিকেটিসি-র তরফে আনুষ্ঠানিক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মদমহেশ্বর মন্দির (দ্বিতীয় কেদার) ২১ মে থেকে এবং তুঙ্গনাথ মন্দিরের (তৃতীয় কেদার) দরজা ২ মে থেকে খুলে যাবে। পুণ্যার্থীরা ওই মন্দিরগুলিতে যেতে পারবেন।
আরও পড়ুন:
চারধাম যাত্রা শুরু করার বিষয়ে গত কয়েক দিন ধরেই তৎপর কর্তৃপক্ষ। বিকেটিসি-র সিইও বিজয়প্রসাদ থাপলিয়াল সোমবার এ নিয়ে একটি বৈঠক করেন। উখিমঠে মদমহেশ্বর মন্দির খোলার তারিখ স্থির করার বিষয়ে ওই বৈঠকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে তাঁর আলোচনা হয়। তীর্থপুরোহিতদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে কাজ করার জন্য সিইও-র প্রশংসা করেছিল কেদার সভা। তার পর মঙ্গলবারেই বিজয়প্রসাদ মা বরহি মন্দির, ত্রিযুগীনারায়ণ মন্দির, গৌরমাতা মন্দির, গৌরীকুণ্ড ঘুরে দেখেন তিনি। গিয়েছিলেন শোন প্রয়াগে মন্দির কমিটির বিশ্রামাগারেও।
যমুনোত্রী, গঙ্গোত্রী, কেদারনাথ এবং বদ্রীনাথ— চারধাম যাত্রা হিন্দুদের অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি তীর্থযাত্রা। প্রতি বছর হিমালয়ের কোলে প্রবল ঠান্ডাকে উপেক্ষা করে হাজার হাজার পুণ্যার্থী চারধামে যান। বলা হয়, ঘড়ির কাঁটার দিকে এগিয়ে চারধাম যাত্রা সম্পূর্ণ করা উচিত। ফলে পুণ্যার্থীরা আগে যান যমুনোত্রীতে। তার পর গঙ্গোত্রী, কেদারনাথ হয়ে বদ্রীনাথ ভ্রমণ দিয়ে চারধাম যাত্রা শেষ হয়। কেউ কেউ আবার শুধু কেদারনাথ এবং বদ্রীনাথ ঘুরে ফিরে আসেন। আকাশপথেও এই যাত্রা সম্পূর্ণ করা যায়। হেলিকপ্টার পরিষেবা চালু আছে। তবে অধিকাংশ পুণ্যার্থী পায়ে হেঁটেই চারধাম ঘোরেন।
হাজার হাজার পুণ্যার্থীর সমাগম উত্তরাখণ্ড সরকারের কাছেও বড় চ্যালেঞ্জ। রাজ্যের অর্থনীতি অনেকাংশে এই তীর্থযাত্রার উপর নির্ভর করে থাকে। মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিংহ ধামী কিছু দিন আগে জানিয়েছিলেন, তাঁর সরকার পুণ্যার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিষয়ে বদ্ধপরিকর।