(বাঁ দিকে) মা এবং দাদার সঙ্গে নিকিতা সিংহানিয়া, অতুল সুভাষ (ডান দিকে)। —ফাইল ছবি।
অতুল-নিকিতা মামলায় নয়া মোড়। জৌনপুরের পারিবারিক আদালতের এক নথি ঘিরে প্রকাশ্যে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। বেঙ্গালুরুর ইঞ্জিনিয়ার অতুল সুভাষকে আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার তাঁর স্ত্রী নিকিতা। আদালতের পুরনো নথি প্রকাশ্যে আসতেই নিকিতার ‘দোষ’ নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। নিকিতা কি নিজেই অত্যাচারের শিকার?
গত ৯ ডিসেম্বর বেঙ্গালুরুর ফ্ল্যাটে আত্মঘাতী হন অতুল। মৃত্যুর আগে তিনি ২৪ পাতার একটি সুইসাইড নোট লিখেছিলেন। সেই সঙ্গে রেকর্ড করেছিলেন দেড় ঘণ্টার ভিডিয়োবার্তা। স্ত্রী নিকিতা এবং তাঁর পরিবারের লোকজনের বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগ তুলেছিলেন অতুল। স্ত্রীর সঙ্গে তাঁর বিবাহবিচ্ছেদের মামলা চলছিল। সেই মামলা চলাকালীন জৌনপুর আদালতে অতুলের অভিযোগের ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন নিকিতা। সেই ব্যাখ্যার নথি প্রকাশ্যে এসেছে। নিকিতাকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। যদিও অতুল দাবি করেছিলেন, তাঁর স্ত্রীকে তাড়ানো হয়নি। তিনি নিজেই বাড়ি ছেড়েছেন। বাপের বাড়ি যাওয়ার আগে বলেছিলেন ফিরে আসবেন। কিন্তু আসেননি। জৌনপুরে গিয়ে অতুল এবং তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগ তুলে ন’টি মামলা করেন নিকিতা।
অতুলের সেই অভিযোগ নিয়ে আদালতে নিকিতা বলেন, ‘‘আমি নিজে থেকে বাড়ি ছাড়িনি। আসলে অতুলই আমাকে বার করে দিয়েছিলেন। ২০২১ সালের মে মাসে আমাকে তাড়িয়ে দেওয়া হয় শ্বশুরবাড়ি থেকে। তবে সেপ্টেম্বরে আমি আবার ফিরে যাই। ভেবেছিলাম অতুল হয়তো নিজের ভুল বুঝতে পারবে। কিন্তু তা হয়নি। সে বার আমাকে বাড়িতে ঢুকতে দেওয়া হয়নি।’’
নিকিতার বয়ান, ‘‘২০২১ সালের ১৭ মে অতুল আমার মায়ের সামনে লাথি-ঘুষি মেরেছিল। তার পর দু’জনকেই বাড়ি থেকে বার করে দেয়। আমার সমস্ত জামাকাপড়, গহনা, ব্যাঙ্কের নথি কেড়ে নিয়েছিল। দাবি করেছিল, যদি আমি ১০ লাখ টাকা দিই তবেই বাড়িতে থাকতে দেবে।’’ এমনকি প্রাণনাশের হুমকিও দেওয়া হয়েছিল বলে দাবি করেন নিকিতা।
অতুলের স্ত্রী আরও বলেন, ‘‘বাপের বাড়ি থাকাকালীন অনেকে আমাকে বোঝান শ্বশুরবাড়ি ফিরে যাওয়ার জন্য। আমিও ভাবি বিষয়টা নিয়ে। তার পর ২০২১ সালেরই ২৪ সেপ্টেম্বর আবার অতুলের কাছে ফিরে যাই। সম্পর্ক বাঁচাতে বেঙ্গালুরু ফেরত গিয়েছিলাম। কিন্তু অতুল আমাকে আর আমার মাকে দেখামাত্রই গালিগালাজ শুরু করে। বলতে থাকে ১০ লাখ নিয়ে এসেছি কি না। টাকা দিতে না-পারায় বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয় আবার। তার পরই আমরা থানায় অভিযোগ করি।’’
নিকিতা ছাড়াও তাঁর মা নিশা এবং ভাই অনুরাগকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বিচারবিভাগীয় হেফাজত শেষে সোমবারই আবার তাঁদের আদালতে হাজির করানো হবে। তবে তার আগে জৌনপুরে আদালতের নথি ঘিরে উঠতে শুরু করেছে নানা প্রশ্ন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy