গত ১৫ এপ্রিল খুন হন আতিক আহমেদ এবং তাঁর ভাই আশরফ। ফাইল চিত্র।
পুলিশ হেফাজতে থাকাকালীন ‘এনকাউন্টার’ এড়াতে নিজের উপর হামলা করানোর ছক কষেছিলেন উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন সাংসদ এবং বিধায়ক তথা ‘গ্যাংস্টার’ আতিক আহমেদ। শুধু তাই-ই নয়, তাঁর উপর হামলা করার দায়িত্ব দিয়েছিলেন ‘ডান হাত’ হিসাবে পরিচিত গুড্ডু মুসলিমকে। এমনই দাবি করেছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ।
পুলিশের আরও দাবি, আতিকের কাছ থেকে ইঙ্গিত পেয়ে গুড্ডু পূর্বাঞ্চলের বেশ কয়েক জন দুষ্কৃতীকেও ঠিক করে রেখেছিলেন। গুজরাতের সাবরমতী জেল থেকে উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে নিয়ে আসার সময়কেই হামলা করার জন্য বেছে নেওয়া হয়েছিল। এমন সুচারু ভাবে করার পরিকল্পনা করা হয়েছিল, যাতে হামলার সময় আতিকের গায়ে যেন কোনও আঁচড় না লাগে। শুধু তাই-ই নয়, পরিকল্পনামাফিক বেশ কয়েকটি বোমা ছোড়ারও কথা ছিল প্রিজ়ন ভ্যানের আশপাশে।
পুলিশ হেফাজতে থাকাকালীন তাঁর উপর হামলা হলে আখেরে দায় বর্তাবে পুলিশের উপর। নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠবে। এমনই পরিকল্পনা ছিল আতিকের। কিন্তু এমন কিছু ঘটতে পারে তা আঁচ করতে পেরেই নিরাপত্তার স্তর বাড়িয়ে দিয়েছিল উত্তরপ্রদেশ পুলিশ।
ঘটনাচক্রে, আতিক এবং তাঁর ভাইয়ের খুনে যে তিন দুষ্কৃতী ধরা পড়েছেন, তাঁরা সকলেই পূর্বাঞ্চলের। আর এখান থেকেই কাহিনি অন্য দিকে মোড় নিয়েছে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। পুলিশের একটি সূত্রের দাবি, তারা খবর পেয়েছিল যে, আতিক এবং আশরফকে খুন করার জন্য পূর্বাঞ্চল থেকে কয়েক জন দুষ্কৃতী প্রয়াগরাজে ঢুকেছে। পুলিশ তদন্ত করছে, তা হলে কি লবলেশ, অরুণ এবং সানি, এই তিন দুষ্কৃতীকে আতিকের গ্যাং-ই ডেকে এনেছিল? না কি দুই ভাইকে খুন করার জন্য সুপারি নেওয়া হয়েছিল? যদিও সুপারি নেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন তিন দুষ্কৃতীই।
সম্প্রতি আতিকের একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে, খুন হওয়ার দিন তিনি পুলিশ ভ্যান থেকে নামার সময় কিছু ক্ষণ থমকে দাঁড়িয়েছিলেন। তার পর ভিড়ের মধ্যে কাউকে খোঁজার চেষ্টা করছিলেন। মাত্র চার সেকেন্ড তাকানোর পর মাথা নাড়িয়ে কিছু ইঙ্গিত দেন। তার পর গাড়ি থেকে নামেন। এই ভিডিয়োই এখন পুলিশকে ভাবাচ্ছে। আতিক কাকে ইঙ্গিত করেছিলেন? কিসের জন্য ইঙ্গিত করেছিলেন? যদিও আততায়ীরা দাবি করেছেন, ১৪ এপ্রিলই আতিক এবং আশরফকে খুন করার চেষ্টা করেছিলেন।
গত ১৫ এপ্রিল আতিক এবং আশরফকে প্রয়াগরাজ হাসপাতালে শারীরিক পরীক্ষা করাতে নিয়ে এসেছিল পুলিশ। তখনই তিন দুষ্কৃতী পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করে হত্যা করেন আতিক-আশরফকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy