আতিক এবং আশরফের হত্যাকাণ্ড নিয়ে যোগী আদিত্যনাথ সরকারের পুলিশকে নোটিস পাঠাল জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।
উত্তরপ্রদেশ পুলিশের হেফাজতে থাকা প্রাক্তন সাংসদ আতিক আহমেদ এবং তাঁর ভাই আশরফকে কী ভাবে প্রকাশ্যে ১২টি বুলেটে ঝাঁঝরা করে দিলেন ৩ আততায়ী? শনিবার রাতে প্রয়াগরাজ জেলা হাসপাতাল চত্বরের ওই হত্যাকাণ্ড নিয়ে আগেই প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা। এ বার জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের তরফে বিষয়টি নিয়ে যোগী আদিত্যনাথের সরকারের পুলিশের কাছে নোটিস পাঠিয়ে রিপোর্ট তলব করা হল।
শনিবার রাতের ওই হত্যাকাণ্ডের ভিডিয়ো ফুটেজ, দুই নিহতের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট, কোন মামলায় তাঁদের হেফাজতে নেওয়া হয়েছিল এবং কেন রাত ১০টায় স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, সে সংক্রান্ত রিপোর্টও উত্তরপ্রদেশ পুলিশের কাছে তলব করেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। প্রসঙ্গত, আতিক-আশরফ হত্যাকাণ্ডের আগে বৃহস্পতিবার রাতে ঝাঁসিতে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের গুলিতে নিহত হন আতিকের ছেলে আসাদ এবং তাঁর সঙ্গী গুলাম। বিরোধীদের অভিযোগ, তরুণ আসাদকে সাজানো সংঘর্ষে খুন করেছে যোগীর পুলিশ।
ঘটনাচক্রে, ফেব্রুয়ারির শেষপর্বে গুজরাতের সাবরমতী জেল থেকে আতিককে আনার তোড়জোড় শুরু করেছিল উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। মার্চের গোড়ায় সুপ্রিম কোর্টে আতিক জানিয়েছিলেন, উত্তরপ্রদেশে নিয়ে গিয়ে তাঁকে মেরে ফেলা হবে। যদিও আপত্তি উপেক্ষা করেই কয়েকটি অপরাধমূলক মামলায় অভিযুক্ত ৫ বারের বিধায়ক এবং ১ বারের সাংসদ আতিককে প্রয়াগরাজে আনা হয়েছিল।
আতিকের আইনজীবী বিজয় মিশ্র শনিবার জানিয়েছেন, আতিক তাঁর খুনের কথা আগেই আন্দাজ করেছিলেন। তাই দু’টি চিঠি লিখে গচ্ছিত রেখেছিলেন তাঁর এক বিশ্বস্ত সঙ্গীর কাছে। নির্দেশ ছিল, তাঁকে যদি খুন করা হয়, তবে ওই চিঠি যেন ‘যথাস্থানে’ পৌঁছয়। চিঠি শীঘ্রই যথাস্থানে পৌঁছবে বলে জানিয়েছেন বিজয়।উত্তরপ্রদেশের জেলে বন্দি আতিকের ভাই আশরফও বছর খানেক আগে অভিযোগ করেছিলেন যোগীর পুলিশ তাঁকে খুন করাবে। ২০২২ সালের ২৮ মার্চ সাংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেছিলেন, ‘‘এক পুলিশ অফিসার আমাকে বলেছেন, কোনও না কোনও অছিলায় আমাকে সপ্তাহ দু’য়েকের জন্য জেল থেকে বার করা হবে। তার পর মেরে ফেলা হবে। তবে ওই পুলিশ অফিসারের নাম আমি বলব না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy