Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪
Maoists killed in Chhatisgarh

ছত্তীসগঢ়ের বস্তারে নিরাপত্তারক্ষীদের গুলিতে নিহত দুই মহিলা-সহ সাত মাওবাদী! সংঘর্ষ চলছে

ছত্তীসগঢ়ের বস্তারে নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে নিহত কমপক্ষে সাত মাওবাদী। গভীর জঙ্গলে গুলির লড়াইয়ে সাত জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। তাঁদের মধ্যে দু’জন মহিলা।

চলছে মাওবাদী-বিরোধী অভিযান।

চলছে মাওবাদী-বিরোধী অভিযান। ছবি: পিটিআই ।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২৪ ১৩:১২
Share: Save:

ছত্তীসগঢ়ের বস্তারে নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে নিহত কমপক্ষে সাত মাওবাদী। গভীর জঙ্গলে গুলির লড়াইয়ে সাত জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। তাঁদের মধ্যে দু’জন মহিলা। জেলা রিজার্ভ গার্ড এবং স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ) যৌথ ভাবে নারায়ণপুর জেলায় অভিযান চালিয়ে ওই সাত জনকে নিকেশ করেছে। সূত্রের খবর, নারায়ণপুর-কাঙ্কের সীমান্তে আবুজমাদের জঙ্গলে মাওবাদীদের আস্তানার খোঁজে গিয়েছিলেন নিরাপত্তারক্ষীরা। মঙ্গলবার সকালে সেখানেই সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। বেশ কয়েক ঘণ্টা ধরে চলা গুলির লড়াইয়ে নিরাপত্তারক্ষীদের গুলিতে কমপক্ষে সাত জনের মৃত্যু হয়েছে ঘটনাস্থলেই। বেশ কিছু অস্ত্রশস্ত্রও উদ্ধার করা হয়েছে। দুষ্কৃতী দলের বাকি সদস্যদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।

এই প্রসঙ্গে ছত্তীসগঢ়ের এক পুলিশকর্তা বলেন, ‘‘সোমবার রাত থেকে নারায়ণপুর-কাঙ্কের সীমান্ত এলাকার আবুজমাদের জঙ্গলে মাওবাদীদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে ডিআরজি-এসটিএফের যৌথ দল। মঙ্গলবার সকালে যৌথবাহিনী কাঙ্কুর গ্রামে পৌঁছতেই মাওবাদীদের মধ্যে গুলির লড়াই শুরু হয়। ঘটনাস্থল থেকে দুই মহিলা-সহ সাত মাওবাদীর দেহ উদ্ধার হয়েছে।’’ নিরাপত্তারক্ষীরা নিরাপদে আছেন এবং এখনও এনকাউন্টার চলছে বলে সংবাদ সংস্থা এএনআইকে জানিয়েছেন অন্য এক পুলিশকর্তা।

উল্লেখ্য, কয়েক দিন আগেই নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে সংঘর্ষে ছত্তীসগঢ়ে ২৯ জন মাওবাদী নিহত হন। তাঁদের মধ্যে ছিলেন মাওবাদী নেতা শঙ্কর রাও এবং ললিতা মেরাভি। এপ্রিল মাসের শুরুতেও ছত্তীসগঢ়ে নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে নিহত হয়েছিলেন তিন মাওবাদী। গত ৬ এপ্রিল ছত্তীসগঢ়ে তেলঙ্গানার সীমানা সংলগ্ন বিজাপুর জেলায় পূজারী কাঙ্কের জঙ্গলে গভীর জঙ্গলে গুলির লড়াইয়ে তিন জনের মৃত্যু হয়। তারও কিছু দিন আগে এই বিজাপুরেই নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে আরও এক বার সংঘর্ষ বেধেছিল মাওবাদীদের। এনকাউন্টারে ১৩ জন মাওবাদীর মৃত্যু হয়েছিল তাতে। নিহতদের তালিকায় তিন জন মহিলাও ছিলেন। তার পর বিজাপুরের জঙ্গলে নতুন করে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ।

উল্লেখ্য, গত জানুয়ারি মাসে ছত্তীসগঢ়ে নিরাপত্তা বাহিনীর শিবিরে হামলা চালিয়েছিল মাওবাদীরা। তাতে তিন জওয়ানের মৃত্যু হয়েছিল। গুরুতর আহত হয়েছিলেন অন্তত ১৪ জন। তার পর ফেব্রুয়ারি মাসে তেলঙ্গানা, মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু এবং কেরলের ছ’টি ঠিকানায় মাওবাদীদের গোপন ডেরায় তল্লাশি অভিযান চালিয়েছিল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ। শীর্ষ স্তরের মাওবাদী নেতার থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই এই অভিযান বলে জানা গিয়েছিল সূত্র মারফত। সে বার বেশ কিছু নথিপত্র, প্রচার-পুস্তিকা, মোবাইল, সিমকার্ড এবং নগদ ১ লক্ষ ৩৭ হাজার টাকা উদ্ধার করেছিল এনআইএ। নারায়ণপুরে নিরাপত্তারক্ষীদের হামলায় আরও সাত জন মাওবাদীর মৃত্যু হল।

অন্য বিষয়গুলি:

Chhatisgarh Maoists maoist area
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE