অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও অরুণাচলের মুখ্যমন্ত্রী পেমা খান্ডু সীমানা (বাঁ দিক থেকে)। ছবি: পিটিআই।
মেঘালয়ের পরে এ বার অরুণাচল প্রদেশের সঙ্গেও আদালতের বাইরেই সীমানা বিবাদ মিটিয়ে ফেলল অসম সরকার। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সভাপতিত্বে অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা ও অরুণাচলের মুখ্যমন্ত্রী পেমা খান্ডু সীমানা চুক্তি সেরে ফেললেন। দুই রাজ্যের মধ্যে ১৯৭২ সাল থেকে ১২৩টি এলাকা নিয়ে বিতর্ক ছিল। তার ভিতরে কম জটিলতা থাকা এলাকাগুলি নিয়ে আগেই বোঝাপড়া হয়েছিল। বাকি এলাকাগুলি নিয়ে ১২টি আঞ্চলিক কমিটি গড়া হয়। দুই রাজ্যের কমিটিই সব দিক খতিয়ে দেখে প্রতিবেদন জমা দেয়। তার ভিত্তিতেই চূড়ান্ত চুক্তিপত্র তৈরি হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক জানিয়েছে, অসম ও অরুণাচল— ওই দুই রাজ্যের মধ্যে ৮০৪.১ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমানা রয়েছে। ওই সীমানার কিছু অংশকে কেন্দ্র করে গত কয়েক দশক ধরে বিবাদ জারি ছিল ওই দু’রাজ্যের। আজ চুক্তি সইয়ের পরে হিমন্ত বলেন, সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে গত এক বছরের বেশি সময় ১২টি আঞ্চলিক কমিটি সক্রিয় রয়েছে। যাতে দু’রাজ্যের মন্ত্রী, বিধায়ক, আমলারা রয়েছেন। সীমানা বিবাদজনিত এলাকাগুলি ঘুরে তাঁরা স্থানীয়দের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা করেন। বিতর্কিত এলাকায় বসবাসকারীরা জাতিগত নৈকট্যের কারণে কোনও রাজ্যের ভূমিপুত্রদের সঙ্গে থাকতে চান, তা যেমন জানতে চাওয়া হয়েছে, তেমনই পরিকাঠামোগত উন্নয়নের প্রশ্নে কোন জেলার সদর দফতর তাঁদের কাছে পড়ে, সেই বিষয়টিও বিচার করা হয়।
বেশ কিছু এলাকা কোন রাজ্যের আওতায় পড়বে, তা আলোচনার মাধ্যমে ঠিক হয়ে গেলেও যেগুলি নিয়ে বিতর্ক রয়েছে এমন এলাকাগুলির ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট, জনগোষ্ঠীর বৈশিষ্ট্য, সীমানা থেকে দূরত্ব, সেখানকার মানুষ কাদের সঙ্গে থাকতে চান, তা খতিয়ে দেখা হবে। একই ভাবে বিবাদিত জায়গাটি কোন রাজ্যের সঙ্গে যুক্ত হলে প্রশাসনিক ভাবে সুবিধা হতে পারে, তা খতিয়ে দেখবেন দু’রাজ্যের প্রতিনিধিরা। এ নিয়ে বিস্তারিত বৈঠকের পরে সার্ভে অব ইন্ডিয়ার প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে দু’রাজ্যের সীমানা চূড়ান্ত করা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy