ফাইল চিত্র।
বুথ ফেরত সমীক্ষায় জয়ের ইঙ্গিত ছিল। শেষ পর্যন্ত তামিলনাড়ুর বিধানসভা ভোটে জিতে ক্ষমতা দখল করলেন ডিএমকে নেতা এম কে স্ট্যালিন। জয় এবং এগিয়ে থাকার প্রবণতা বলছে, ২৩৪ আসনের তামিলনাড়ু বিধানসভায় ১৫৫টি তে জিততে চলেছে ডিএমকে-কংগ্রেস-বামেদের জোট। প্রতিদ্বন্দ্বী এডিএমকে-বিজেপি-পিএমকে জোট পেতে পারে ৭৮টি।
অতীতে বাবা এম করুণানিধির মন্ত্রিসভায় উপমুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন স্ট্যালিন। এ বারই প্রথম রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হতে চলেছেন তিনি। তামিলনাড়ুতেও আশির দশকের শেষ পর্ব থেকে ৫ বছর অন্তর সরকার বদলের পরম্পরার সূচনা হয়েছিল। কিন্তু ২০১১ এবং ২০১৬-র বিধানসভা ভোটে জিতে সেই ধারার অবসান ঘটান এডিএমকে নেত্রী জয়ললিতা। এ বার আম্মার অবর্তমানে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে দীর্ণ এডিএমকে-র ক্ষমতা থেকে বিদায় কার্যত নিশ্চিত ছিল। মুখ্যমন্ত্রী ই কে পলানীস্বামী এবং উপমুখ্যমন্ত্রী ও পন্নীরসেলভমের দলের আসন সংখ্যা ৫০-এক নীচে নেমে যেতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছিল একাধিক বুথ ফেরত সমীক্ষ। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে তা হয়নি।
উত্তর-পূর্বের রাজ্য অসমে ক্ষমতা ধরে রাখার পাশাপাশি এবং তামিলনাড়ু ঘেরা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল পুদুচেরিতে এ বার দখল করতে চলেছে বিজেপি-জোট। ১২৬ আসনের অসম বিধানসভায় বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোট ৭৪ এবং কংগ্রেসের জোট ৫০টি আসন জিততে চলেছে। এর মধ্যে একক ভাবে বিজেপি ৫৮টি জিতে বৃহত্তম দল হতে পারে। ২০১৬ সালে ৬০টিতে জিতেছিল বিজেপি। তার দুই সহযোগী দল অসম গণ পরিষদ (অগপ) এবং বিপিএফ জিতেছিল ১৪ এবং ১২টিতে। আলাদা লড়ে কংগ্রেস ২৬ এবং সংখ্যালঘুদের দল এআইইউডিএফ ১৩টিতে জেতে। এ বার এআইইউডিএফ এবং বিপিএফের পাশাপাশি সিপিআই (এমএল লিবারেশন)-সহ তিন বাম দল, আরজেডি-র সঙ্গে সমঝোতা করেছিল কংগ্রেস। এনআরসি-সিএএ বিরোধী আন্দোলনের নেতা অজিত ভুঁইয়ার দল আঞ্চলিক গণ মোর্চাও এই জোটে সামিল হয়েছিল।
অন্য দিকে, বিপিএফের বদলে কংগ্রেসের প্রাক্তন সহযোগী বড়ো জনগোষ্ঠীর রাজনৈতিক দল ইউপিপিএল-এর সঙ্গে এ বার জোট গড়েছিল বিজেপি। ফল বলছে, ইউপিপিএল ৬ এবং বিপিএফ ৪টি আসনে জিতেছে। অগপ-ও ফের পদ্ম শিবিরের সঙ্গেই গাঁটছড়া বেঁধে ৯টি জিততে চলেছে। মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল, প্রভাবশালী বিজেপি নেতা হিমন্ত বিশ্বশর্মা ভোটে জিতেছেন। ছাত্র সংগঠন ‘আসু’র প্রাক্তন নেতাদের গড়া দল অসম জাতীয় পরিষদ এবং সমাজকর্মী অতুল গগৈয়ের রাইজর দল উজান অসমের কয়েকটি কেন্দ্রে বিজেপি-কে প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে ফেলতে পারে বলে ইঙ্গিত মিলেছিল বুথ ফেরত সমীক্ষায়। জাতীয় পরিষদ কয়েকটি আসনে ভাল ভোট পেয়েছে।
পুদুচেরিতেও ক্ষমতা দখলের পথে এনডিএ জোট।এ বার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এন রঙ্গস্বামীর দল তথা এনআর কংগ্রেস এবং এডিএমকে-কে সঙ্গী করেছিল বিজেপি। কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মোট ৩০টি আসনের মধ্যে ১৬টিতে এগিয়ে সেই জোট। কংগ্রেস-ডিএমকে জোট এগিয়ে ৮টিতে। গতবার কংগ্রেস ১৫টিতে জিতলেও এ বার মাত্র ৩টিতে জিততে চলছে তারা। প্রসঙ্গত, ২০১৬-র বিধানসভা ভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছিল কংগ্রেস-ডিএমকে জোট। কিন্তু শাসকজোটের কয়েকজন বিধায়কের দলত্যাগের জেরে সেখানে ফেব্রুয়ারিতে মুখ্যমন্ত্রী ভি নায়ায়ণস্বামীর নেতৃত্বাধীন সেই সরকারের পতন ঘটে। পরাজয়ের আশঙ্কায় এ বার প্রার্থীই হননি কংগ্রেস নেতা নারায়ণস্বামী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy