কার্বি আংলংয়ের উপজাতীয় রাজা হরসিং রংহাং।নিজস্ব চিত্র।
তাঁর ছয় প্রজা দিন কয়েক আগেই ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগে গ্রেফতার হয়ে রাঙাঘরের অতিথি হয়েছে। এবার খোদ রাজার পালা! জোর করে বাড়িতে ঢুকে চার সন্তানের মাকে ধর্ষণ করার অভিযোগে আজ গ্রেফতার হলেন কার্বি আংলংয়ের উপজাতীয় রাজা হরসিং রংহাং।
কার্বি আংলংয়ের হামরেনে হওয়া গণধর্ষণ ও হত্যার ঘটনা নিয়ে তোলপাড় রাজ্য। এক অভিযুক্তকে এখনও ধরতে পারেনি পুলিশ। অন্য ছ'জনকে ধরা গিয়েছে। তার মধ্যেই রংহাং রংবংয়ের রাজার এমন কাণ্ড!
হামরেন থানার ওসি কমল বরা জানান, ১৭ মে রাতে গ্রামের ৩৩ বছর বয়সী এক মহিলার বাড়িতে জোর করে ঢুকে পড়েন রাজামশাই। মহিলার চার সন্তান। স্বামী বাড়ি থাকেন না। মহিলার অভিযোগ, তাঁকে ধর্ষণ করে, রাত কাটিয়ে রাজা সকালে বেরিয়ে যান। যাওয়ার আগে হুমকি দেন, কথা পাঁচকান হলে বিপদ হবে। কারণ, রাজার বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলবে না। উল্টে একঘরে হবেন মহিলাই।
আরও পড়ুন: বিধ্বংসী আঘাত হানল ভারত, গুঁড়িয়ে দেওয়া হল একাধিক পাক বাঙ্কার
কার্বি আংলংয়ের প্রশাসনের ব্যাপার স্বশাসিত পরিষদের হাতে থাকলেও প্রথাগত পদাধিকারী রাজার সামাজিক সম্মান কম নয়। হামরেন থেকে ১৬ কিলোমিটার দূরে, পাহাড়ের মাথায় তাঁর প্রাসাদও আছে। তাঁর নীচে আছেন আরও তিন ছোট রাজা। রাজকার্ষে হরসিংকে সাহায্য করে ৩০ সদস্যের পরিষদ।
কিন্তু ওই ধর্ষণের ঘটনায় ব্যতিক্রমী ভূমিকা নেয় পঞ্চায়েত। মহিলা রাজার বিরুদ্ধে নালিশ ঠোকার পরে সালিশি সভায় সিদ্ধান্ত হয়, রাজা হলেও এমন কাণ্ড মানা হবে না। সভার নির্দেশে মহিলা গত কাল থানায় এফআইআর দায়ের করেন। আজ সকালে ৫৩ বছর বয়সী রাজা হর সিংকে থানায় তলব করা হয়। জেরায় দোষ স্বীকারের পরে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মহিলার ডাক্তারি পরীক্ষার রিপোর্টের অপেক্ষা করছে পুলিশ।
অন্য দিকে, স্বামীর সঙ্গে ঝগড়ার জেরে নিজের দুই সন্তানকে কোপালো মা। হোজাই জেলার ঘটনা। পুলিশ জানায়, ময়নাপুরের বাসিন্দা শঙ্কর বণিকের সঙ্গে তাঁর স্ত্রী ঝগড়া লেগেই থাকত। পরিবারের দাবি, স্ত্রী পরপুরুষে আসক্ত ছিলেন। গত রাতে সেই ঘটনা হাতেনাতে ধরে ফেলেন স্বামী। তা থেকেই ঝগড়া চূড়ান্ত রূপ নেয়। হাতের কাছে থাকা দা নিয়ে শঙ্করবাবুর স্ত্রী চার বছরের ছেলে জয় ও ৯ মাস বয়সী মেয়ে নন্দিনীকে হত্যার চেষ্টা করে। পরে প্রতিবেশীরা ওই মহিলাকে মারধর করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy