সুস্মিতা দেব। —ফাইল চিত্র।
এনআরসি-র চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করলেও সেই তালিকাকে স্বীকৃতি দিয়ে ‘নোটিফাই’ করেনি রেজিস্ট্রার জেনারেল অব ইন্ডিয়া বা আরজিআই। সুপ্রিম কোর্টের এসওপি-র দোহাই দিয়ে অসমে ২৭ লক্ষাধিক মানুষের বায়োমেট্রিক তথ্য ‘লক’ করে রেখেছে এনআরসি দফতর। ফলে তাঁরা আধার কার্ড পাচ্ছেন না, বঞ্চিত হচ্ছেন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, প্যান কার্ড, রেশন কার্ড-সহ বিভিন্ন সরকারি সুযোগ-সুবিধা থেকে। এর বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থ মামলা করেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সদস্য সুস্মিতা দেব। তাঁর পক্ষে আজ মিজোরামের প্রাক্তন অ্যাডভোকেট জেনারেল বিশ্বজিৎ দেব সুপ্রিম কোর্টে দাবি করেন, সুপ্রিম কোর্টের এসওপি-তে চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের পরেই বায়োমেট্রিক তথ্যের লক খুলে দেওয়ার নির্দেশ ছিল। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ইউ ইউ ললিত, বিচারপতি এস রবীন্দ্র ভাট এবং বিচারপতি পি এস নরসিংহের বেঞ্চ ১৭ মে পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করে এ নিয়ে কেন্দ্র, অসম সরকার, আধার কর্তৃপক্ষ ও আরজিআই-য়ের বক্তব্য জানতে চেয়েছে।
অসম সরকার অবশ্য ২১ মার্চ বিধানসভায় দাবি করেছে, আরজিআই এখনও এনআরসি-র চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করেনি। তাই বায়োমেট্রিক লক খোলা যাচ্ছে না। কিন্তু ২০১৯ সালের ৩১ অগস্ট রেজিস্ট্রার জেনারেলের উপস্থিতিতে যে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছিল, তাকে আনুষ্ঠানিক ভাবে ‘ফাইনাল এনআরসি’ বলা হয়েছিল। এনআরসি-র ওয়েবসাইটেও সেই উল্লেখ রয়েছে। সুস্মিতার আইনজীবী আজ আদালতে বলেন, এসওপিতে হয়েছে আরজিআই তালিকা প্রকাশের পরে বায়োমেট্রিক তথ্য রিলিজ করা হবে। সেখানে ‘নোটিফাই’ করার উল্লেখ নেই। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশেও বলা হয়নি যে এনআরসি না হওয়া পর্যন্ত আধার নম্বর দিতে পারবে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy