প্রতীকী ছবি।
আফিমের সাম্রাজ্য দখল নিয়ে লড়াই চিন আর মায়ানমারের। ভুগছে অসমের বরাক উপত্যকা। মাদকে ডুবছে তরুণ প্রজন্ম। উদ্বেগে স্থানীয়
জনতা। চিন্তায় পুলিশ, বিএসএফ-ও। রাজ্যের পুলিশ প্রধান ভাস্করজ্যোতি মহন্ত আজ শিলচরে এই নিয়ে তাঁর চিন্তা ব্যক্ত করেন। তাঁর মতে, নেশার অর্থ জোগাতেই বাড়ছে চুরি, ছিনতাই। কী করে তা নিয়ন্ত্রণে আনা যায় তা নিয়ে চিন্তিত পুলিশ।
বরাকের সংলগ্ন মণিপুর, মিজোরাম। রয়েছে বাংলাদেশ সীমান্তও। বাংলাদেশে মায়ানমারের মাদকের বিরাট চাহিদা। সে দেশে পাচারে ২০-৩০ গুণ মুনাফা মেলে। কখনও তা ৬০-৭০ গুণও ছাড়িয়ে যায়। এই বিশাল বাজার ছাড়তে নারাজ মায়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠী। সরকারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য অর্থ জোগানের এটাই তাদের বড় উৎস। বিশাল অঞ্চল জুড়ে অস্থিরতা সৃষ্টির সুযোগ ছাড়তে চায়নি চিনও। তাদের ইউনান প্রদেশের সঙ্গে জুড়ে রয়েছে মায়ানমারের শান প্রদেশ। চিনা রক্ষীরা দাঁড়িয়ে থেকে সেখানে আফিম চাষে সুরক্ষা দেয়। পুলিশ কর্তার চিন্তা, বরাক, মণিপুর ও মিজোরামের এই ‘ড্রাগ-করিডর’ নিয়ে। ওই দুই রাজ্য হয়ে হেরোইন, ব্রাউন সুগার, ইয়াবা ট্যাবলেটের মত মাদকদ্রব্য বরাকে ঢোকে। গন্তব্য বাংলাদেশ। ব্যবসার প্রয়োজনে মাদক চোরাকারবারিরা এখানেও এজেন্ট তৈরি করে। এরাই মাদক ছড়িয়ে দিচ্ছে কাছাড়, করিমগঞ্জ, হাইলাকান্দিতে।
মহন্ত আজ তিন জেলার এসপিদের সঙ্গে বৈঠক করেন। কথা বলেন বিএসএফ কর্তাদের সঙ্গেও। তিনি স্থানীয় নাগরিকদের সঙ্গেও মিলিত হন। তিনি বলেন, ‘‘ধরপাকড় কম হচ্ছে না। কিন্তু এরা তো শুধুই এজেন্ট। বড় মাথাদের নাগাল পাওয়া কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।’’
আরও পড়ুন: গোয়ার স্টেশনে আধুনিক যানে চড়ে ঘুরে বেড়াছেন নিরাপত্তাকর্মী
বিএসএফ-এর ডিআইজি জেসি নায়েক স্বীকার করেন, কাঁটাতারের বেড়া মাদক নিয়ন্ত্রণে যথেষ্ট নয়। প্রায়ই বেড়ার ওপর দিয়ে কারবার হয়ে যায়। ঢিল ছুড়ে মাদক পাচার হয় ওপারে। ঢিলেই টাকা চলে আসে এপারে। নায়েকের কথায়, কেন্দ্র এই অঞ্চলে রুফ টপ ফেন্স বসানোর প্রকল্পে অনুমোদন জানিয়েছে। মহন্ত একই সঙ্গে বরাকবাসীকেও নিজেদের সন্তানদের উপরে নজর রাখতে বলেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy