প্রতীকী ছবি।
মিজোরামের পুলিশ হেফাজতে অসমের কাছাড় জেলার এক ব্যক্তির মৃত্যুতে দু’রাজ্যের বিবাদ নতুন মোড় নিয়েছে৷ সীমা এলাকায় জড়ো হয়ে কাছাড়ের প্রচুর মানুষ প্রতিবাদে জানিয়েছেন৷ মিজোরাম পুলিশের দাবি, সোমবার মাদক-সহ গ্রেফতার করা হয় কাছাড় জেলার ফ্রেঞ্চনগরের ইনতিয়াজ আলিকে৷ জিজ্ঞাসাবাদের সময় অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে কলাশিব হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়৷ চিকিৎসকরা সেখানে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন৷
অসম-মিজোরাম সীমার পরিস্থিতি জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে জরুরি চিঠি পাঠিয়েছেন৷ মিজোরামে পুলিশ হেফাজতে মৃতের পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে তিনি কাছাড়ের জেলাশাসককে নির্দেশ দিয়েছেন৷ রাজ্যের মুখ্যসচিব ও পুলিশ প্রধানকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করতে বলেছেন।
দক্ষিণ অসম রেঞ্জের ডিআইজি দিলীপকুমার দে জানান, রবিবারই ইনতিয়াজের ভাই আলি হোসেন থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন৷ তাঁদের অভিযোগ, পাগলাছড়ার জঙ্গলে কাঠ কুড়োতে গেলে মিজোরাম পুলিশ তাঁকে তুলে নিয়ে যায়৷ দুপুরে কলাশিবের এসপি তাঁর মৃত্যুর কথা আসাম পুলিশকে জানান৷ এই খবরে শতশত মানুষ মিজোরামের দিকে ছুটে যান৷ তাদের আটকাতে কাছাড়ে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করতে হয়৷ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জগদীশ দাস যান সেখানে৷
এ দিকে, ইনতিয়াজের মৃত্যুর খবরের কিছু ক্ষণ পরে মিজোরামের দিক থেকে দৌড়ে আসেন নজরুল ইসলাম নামে কাছাড়ের এক ব্যক্তি৷ তিনি বলেন, তিন দিন আগে তিনি গরুর ঘাস কাটতে জঙ্গলে গিয়েছিলেন৷ দুই যুবক তাঁকে ধরে নিয়ে যায়৷ এক জনের কাঁধে ছিল আগ্নেয়াস্ত্র৷ তারা তাকে গাছের সঙ্গে বেঁধে পেটায়৷ সোমবার ইনতিয়াজের মৃত্যুর পরে তারাই তাকে সীমা এলাকায় এনে ছেড়ে দেয়৷
ডিআইজি দিলীপবাবু বলেন, মানবাধিকার লঙ্ঘন করে চলেছে মিজোরাম পুলিশ৷ কেন্দ্রকে সমস্ত বিষয় নিয়মিত রিপোর্ট করা হচ্ছে৷ কাছাড়ের পুলিশ সুপার বিএল মিনা কলাশিব পুলিশের কাছে ইনতিয়াজের মৃতদেহ চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন৷ মিজোরামের বিভিন্ন সংগঠন আসাম পুলিশকে পাল্টা অভিযুক্ত করছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy