হিমন্ত বিশ্বশর্মা। —ফাইল চিত্র।
২০২১ সাল থেকে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে কড়া নীতি নিয়েছে অসম সরকার। নিয়মে বলা হয়েছে, দুয়ের বেশি সন্তান থাকলে সরকারি চাকরি মিলবে না। এ বার অসমের গ্রামাঞ্চলে মহিলাদের ক্ষমতায়নের জন্য যে নতুন প্রকল্প আনা হয়েছে, তাতেও শর্ত বেঁধে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। তাতে বলা হল, তিনের বেশি সন্তান থাকলে ‘মুখ্যমন্ত্রী মহিলা উদ্যমিতা অভিযান’ প্রকল্পের সুবিধা পাওয়া যাবে না। আর আদিবাসী এবং জনজাতি মহিলাদের যদি চারের বেশি সন্তান থাকে, সে ক্ষেত্রে তাঁদেরও এই প্রকল্পের সুযোগ হাতছাড়া হবে।
বৃহস্পতিবার অসমের মুখ্যমন্ত্রী গ্রামীণ মহিলাদের জন্য নতুন প্রকল্পের ঘোষণা করেছেন। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা গ্রামাঞ্চলে ‘ছোট শিল্পপতি’ হতে পারেন, বছরে এক এক জন যাতে অন্তত লক্ষ টাকা করে উপার্জন করতে পারেন, সেটাই নতুন প্রকল্পের লক্ষ্য। এ জন্য বাজেটে ৩,৯০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে সরকার। কিন্তু প্রকল্পের সুবিধা পেতে হলে শর্ত রয়েছে। হিমন্তের কথায়, ‘‘জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ নীতি মেনে প্রকল্পের সুবিধা দেওয়া হবে।’’
নতুন প্রকল্পের সুবিধা পেতে হলে অসমের গ্রামীণ মহিলাদের আবেদন করতে হবে একটি ব্যবসায়িক পরিকল্পনা নিয়ে। আবেদন গৃহীত হলে তাঁরা প্রথম বছর পাবেন ১০ হাজার টাকা। পরের বছর থেকে ব্যাঙ্ক এবং সরকার থেকে ১২ হাজার ৫০০ টাকা করে সাহায্য মিলবে। ব্যাঙ্কের ঋণ পরিশোধ করতে হবে। তবে সরকার মোট ৩৫ হাজার টাকা সাহায্য দেবে, সেটা শোধ দিতে হবে না। এক এক জন তিন বছর এই সুযোগ পাবেন। কিন্তু উপভোক্তাদের বাছতে গিয়ে ইতিমধ্যে পাঁচ লক্ষ নাম কাটা যেতে পারে বলে জানিয়েছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানান, যে হেতু ওই মহিলাদের তিনের বেশি সন্তান, তাই তাঁদের প্রকল্পের বাইরে রাখা হচ্ছে। বাকি ৩৯ লক্ষ মহিলা এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন। তাঁদের জন্য সরকার ১৪৫টি ব্যবসায়িক পরিকল্পনা তৈরি করে রেখেছে। সংশ্লিষ্ট প্রকল্পেও ‘জনসংখ্যা নীতি’ প্রয়োগ নিয়ে হিমন্ত বলেন, ‘‘যদি এক জন মহিলার চার সন্তান থাকে, তা হলে তিনি ব্যবসা করার সময় কোথা থেকে বার করবেন। তাঁকে তো ছেলেমেয়ের খাওয়া-দাওয়া এবং পড়াশোনা নিয়ে ব্যস্ত থাকতে হয়। তাই এই নিয়ম করা হয়েছে।’’
এই শর্তের পাশাপাশি আরও দুটি শর্ত মানতে হবে উপভোক্তাদের। উপভোক্তাদের কারও কন্যাসন্তান থাকলে তাকে স্কুলে ভর্তি করতেই হবে। আর যদি এখনও সেই কন্যাসন্তানের স্কুলে যাওয়ার বয়স না হয়ে থাকে, সে ক্ষেত্রে আবেদনপত্রে লিখে দিতে হবে যে স্কুলে যাওয়ার বয়স হলে মা তাকে স্কুলে পাঠাবেনই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy