Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Assam Couple Arrested

যমজ নাবালিকাকে আটকে রেখে মারধর, গোপনাঙ্গে ছেঁকা! গ্রেফতার চিকিৎসক দম্পতি

পুলিশ ইতিমধ্যেই ওই যমজ নাবালিকার বাবা-মায়ের খোঁজে নেমেছে। কী ভাবে তারা ওই দম্পতির বাড়িতে আটকে পড়েছিল তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

Assam Doctor Couple arrested for keeping twin captive and burning private parts.

দম্পতির পাশাপাশি তাঁদের পরিচারিকাকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ। প্রতীকী ছবি।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
গুয়াহাটি শেষ আপডেট: ০৯ মে ২০২৩ ১০:৪৩
Share: Save:

দুই নাবালিকা যমজ বোনকে বন্দি করে দিনের পর দিন ধরে নির্যাতন করার অভিযোগে অসম থেকে গ্রেফতার করা হল চিকিৎসক দম্পতিকে। গত শুক্রবার গুয়াহাটি থেকে তাঁদের গ্রেফতার করা হয়। অভিযুক্তদের নাম ওয়ালিউল ইসলাম এবং সঙ্গীতা দত্ত। তাঁদের মধ্যে ওয়ালিউল শল্য চিকিৎসক এবং সঙ্গীতা মনোরোগ বিশেষজ্ঞ। দম্পতির পাশাপাশি তাঁদের পরিচারিকাকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, দম্পতির বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে।

পুলিশ সূত্রে খবর, দুই যমজ বোনের মধ্যে এক জনের শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। অভিযোগ, নাবালিকার গোপনাঙ্গ সিগারেট দিয়ে পুড়িয়েও দেওয়া হয়েছিল। তবে কেন ওই দুই শিশুর উপর নির্যাতন চালানো হত, তা এখনও পরিষ্কার নয় বলে পুলিশ সূত্রে খবর। পুলিশ ইতিমধ্যেই ওই যমজ নাবালিকার বাবা-মায়ের খোঁজে নেমেছে। কী ভাবে তারা ওই দম্পতির বাড়িতে আটকা পড়েছিল, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

পুলিশ জানিয়েছে, গুয়াহাটির শিশু অধিকার কর্মী মিগুয়েল দাস কুয়াহ প্রথম বিষয়টি প্রকাশ্যে আনেন। তিনি জানতে পেরেছিলেন, মার্চ মাসের তীব্র গরমে এক শিশুকে চিকিৎসক দম্পতির বাড়ির ছাদে খুঁটির সঙ্গে বেঁধে রাখা হচ্ছে। তিনি পুলিশের কাছে এই বিষয়ে অভিযোগ জানানোর পর পুলিশ চিকিৎসক দম্পতির বাড়িতে অভিযান চালায় এবং দম্পতিকে গ্রেফতার করে।

এই প্রসঙ্গে গুয়াহাটির সিপি দিগন্ত বরাহ বলেন, “নাবালিকাদের চিকিৎসক দম্পতির বাসভবনের চার তলায় বন্দি রাখা হয়েছিল। ৩ বছর বয়সি দুই নাবালিকারই গোপনাঙ্গে ক্ষত রয়েছে। দু’জনের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্নও রয়েছে। ডাক্তারি পরীক্ষার পর জানা গিয়েছে, এক জন শিশুর গোপনাঙ্গে সিগারেটের ছেঁকা দেওয়া হত।’’

তিনি আরও বলেন, “অভিযুক্ত দম্পতির পরিচারিকা লক্ষ্মীকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। রবিবার তাঁদের গুয়াহাটির মুখ্য বিচারক বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে হাজির করানো হয়েছিল। সেখানে দম্পতিকে পাঁচ দিনের পুলিশি হেফাজতে এবং পরিচারিকাকে সাত দিনের বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়।’’

দিগন্ত জানিয়েছেন, অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা এবং ডিজিপি বিষয়টিতে নজর রেখেছেন।

অন্য বিষয়গুলি:

Child Sexual Abuse Assam doctor Sexual Assault
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy