বয়স্ক এবং প্রবীণ যাত্রীদের সংরক্ষিত টিকিটের উপরে প্রদত্ত ছাড় বাতিল করে গত পাঁচ বছরে রেল ৮৯১৩ কোটি টাকা আয় করেছে। রেলের তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা সেন্টার ফর রেলওয়ে ইনফর্মেশন সিস্টেম ( ক্রিস) সংরক্ষিত আসনের টিকিট কাটার সফটওয়্যার ব্যবস্থা দেখাশোনার কাজ করে। তথ্যের অধিকার আইনে ওই সংস্থাকে প্রশ্ন করে এ বিষয়ে উত্তর পেয়েছেন মধ্যপ্রদেশের এক ব্যক্তি। রেলের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ সালের ২০ মার্চ থেকে চলতি বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময়ের মধ্যে ছাড় বাতিল করার কারণে রেলের ওই অর্থ সাশ্রয় হয়েছে।
অতিমারি পরিস্থিতিতে ছাড় বাতিল করার আগে ট্রেনের সংরক্ষিত শ্রেণিতে ৬০ বছর বা তার বেশি বয়সের পুরুষদের ক্ষেত্রে টিকিটের দামের উপর ৪০ শতাংশ এবং ৫৮ বছর বয়স বা তার বেশি বয়সের মহিলা যাত্রীরা টিকিটের দামের উপর ৫০ শতাংশ ছাড় পেতেন। বয়স্ক যাত্রীদের ছাড় ফেরানোর বিষয়ে নানা প্রান্ত থেকে দাবি উঠলেও সম্প্রতি সংসদে এক প্রশ্নের উত্তরে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানান যে, রেল টিকিটের উপরে যাত্রী পিছু ৪৬ শতাংশ ভর্তুকি দেয়। রেল মন্ত্রীর বক্তব্যে সে দিন স্পষ্ট হয়ে যায়, নতুন করে এখনই প্রবীণ যাত্রীদের টিকিটের উপরে ছাড় ফেরানোর বিষয়টি সরকার বিবেচনা করছে না। রেলের পক্ষ থেকে পাওয়া তথ্যে জানা গিয়েছে, ৩১ কোটির কিছু বেশি সংখ্যক প্রবীণ যাত্রীর কাছ থেকে ওই অর্থ আয় হয়েছে। তার মধ্যে ১৮ কোটি ২৭ লাখের কাছাকাছি পুরুষ যাত্রী এবং ১৩ কোটির কিছু বেশি মহিলা যাত্রী ওই সময় ট্রেনে সফর করেছেন। এ ছাড়াও রূপান্তরকামীদের মধ্যে প্রায় সাড়ে ৪৩ হাজার প্রবীণ যাত্রী সফর করেছেন।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)