Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪
Jharkhand High Court

শাশুড়ির সেবা সংস্কৃতির অঙ্গ, বলল হাই কোর্ট

‘মনুস্মৃতি’ উল্লেখ করে বৃহস্পতিবার এই নির্দেশ দিয়েছে ঝাড়খণ্ড হাই কোর্টের বিচারপতি সুভাষ চন্দ্র। তিনি জানিয়েছেন, সামাজিক সংস্কৃতি মেনে চলাটা প্রত্যেক নাগরিকের মৌলিক কর্তব্য।

Jharkhand High Court

ঝাড়খণ্ড হাই কোর্ট। —ফাইল চিত্র।

সংবাদ সংস্থা
রাঁচী শেষ আপডেট: ২৬ জানুয়ারি ২০২৪ ০৭:৪৩
Share: Save:

বাড়ির বউয়ের কাছে শাশুড়ি বা দিদিশাশুড়ির সেবা করাটা সংস্কৃতির অঙ্গ। তাঁকে সেটা মেনে চলতেই হবে। ‘মনুস্মৃতি’ উল্লেখ করে বৃহস্পতিবার এই নির্দেশ দিয়েছে ঝাড়খণ্ড হাই কোর্টের বিচারপতি সুভাষ চন্দ্র। তিনি জানিয়েছেন, সামাজিক সংস্কৃতি মেনে চলাটা প্রত্যেক নাগরিকের মৌলিক কর্তব্য। ‘মনুস্মৃতি’ অনুযায়ী শাশুড়ি ও দিদি শাশুড়ির সেবা করাটা সনাতন সামাজিক সংস্কৃতির অংশ।

গৃহবধূ পিয়ালী রায় চট্টোপাধ্যায় শ্বশুরবাড়িতে নির্যাতনের অভিযোগ করে পারিবারিক আদালতে খোরপোষের মামলা করায় আদালত তাঁর স্বামীকে স্ত্রীর জন্য মাসে ৩০ হাজার এবং নাবালক ছেলের জন্য মাসে ১৫ হাজার টাকা দেওয়ার নির্দেশ দেয়। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ঝাড়খণ্ড হাই কোর্টে গিয়ে স্বামী নালিশ করেন, শাশুড়ি ও দিদি শাশুড়িকে বাড়ি থেকে বার করে দিলে স্ত্রী তাঁর সঙ্গে থাকবেন বলে জানিয়েছেন।

এর উত্তরে স্ত্রী আদালতে জানান, পণের দাবিতে শ্বশুরবাড়ির লোকেরা তাঁর উপরে মানসিক নির্যাতন করতেন বলেই ছেলেকে নিয়ে তাঁকে বাপের বাড়ি চলে আসতে হয়েছে। এই মামলায় হাই কোর্টের বিচারপতি অবশ্য পিয়ালীকে বলেন, শ্বশুরবাড়ি থেকে তাঁর বিচ্ছিন্ন থাকার কোনও যুক্তিগ্রাহ্য কারণ তিনি পাচ্ছেন না। তাঁর উচিত সেখানে ফিরে গিয়ে সংস্কৃতি মেনে বয়স্ক আত্মীয়াদের সেবা করা। তা হলে খোরপোষেরও প্রশ্ন উঠবে না।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE