অরুণ জেটলিকে শেষ বিদায়। ছবি- পিটিআই।
প্রয়াত প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির শেষকৃত্য সম্পন্ন হল রাষ্ট্রীয় মর্যাদায়। দিল্লিতে যমুনা নদীর নিগমবোধ ঘাটে। দিল্লির পণ্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায় মার্গে বিজেপির সদর দফতর থেকে তাঁর মরদেহ নিয়ে দলের কর্মী, নেতারা দুপুর একটা নাগাদ রওনা হন নিগমবোধ ঘাটের দিকে।
দুপুর দু’টোয় নিগমবোধ ঘাটে পৌঁছয় প্রয়াত বিজেপি নেতার দেহ। তার আগে সকাল ১১টা থেকে তাঁর দেহ রাখা ছিল দিল্লিতে বিজেপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে।
নিগমবোধ ঘাটে প্রয়াত বিজেপি নেতার শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন উপ-রাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নায়ডু, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। ছিলেন দিল্লির মুখ্য়মন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল ও উপ-মুখ্যমন্ত্রী মনীশ সিসৌদিয়াও।
এ দিন সকালেই প্রয়াত বিজেপি নেতার দেহ তাঁর বাড়ি থেকে নিয়ে আসা হয় বিজেপির সদর দফতরে। সেখানে প্রয়াত নেতাকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে ভিড় করেন সাধারণ মানুষ ও বিজেপি নেতারা। তার পর সেখান থেকে প্রয়াত নেতার দেহ একটি ফুল বিছনো গাড়িতে চাপিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় আট কিলোমিটার দূরে যমুনার নিগমবোধ ঘাটে। ওই সময় ‘জেটলিজী অমর রহে’ ধ্বনি দিতে দেখা যায় বিজেপি কর্মী, সমর্থকদের।
কিডনির সমস্যায় দীর্ঘ দিন অসুস্থ থাকার পর শনিবার মাত্র ৬৬ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বিজেপির প্রবীণ নেতা।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এখন বাহরাইন সফরে। এই দুঃসংবাদ পাওয়ার পরেই গত কাল তাঁর প্রতিক্রিয়া ছিল, ‘‘এটা ভাবতেই পারছি না, আমি যখন এত দূরে তখনই আমার বন্ধুকে হারাতে হল। দিনকয়েক আগে আমি আমার বোন প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজকে হারিয়েছিলাম। আজ হারালাম আমার বন্ধুকে।’’
আরও পড়ুন- প্রয়াত জেটলি, ইতি পড়ল অটল ঘরানায়
আরও পড়ুন- বক্তৃতার পরে নিজেই এসে আলাপ করেন
গত কাল জেটলির বাড়িতে গিয়ে তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানিয়ে আসেন কংগ্রেসের মতিলাল ভোরা, এনসিপি-র শরদ পওয়ার ও প্রফুল পটেল, আরজেডি-র অজিত সিংহ এবং তেলুগু দেশম পার্টির প্রধান চন্দ্রবাবু নায়ডু।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy