মার্কিন শুল্কনীতির প্রভাব পড়েছে গোটা বিশ্বের শেয়ার বাজারে। বাদ পড়েনি দালাল স্ট্রিটও। ভারতের শেয়ার বাজারে সোমবার যে ধস নেমেছে, তার কোপ থেকে রেহাই পেলেন না দেশের ধনীতম চার জনও! বাজারের টালমাটাল পরিস্থিতিতে মুকেশ অম্বানী, গৌতম আদানি, সাবিত্রী জিন্দল ও তাঁর পরিবার এবং শিব নাদার, সবারই সম্পত্তির পরিমাণ কমেছে। ‘ফোর্বস’-এর ধনকুবের তালিকার ‘রিয়্যাল-টাইম’ (তাৎক্ষণিক) অনুযায়ী চার জনের প্রায় ৮৫ হাজার কোটি টাকা (এক হাজার কোটি ডলার) সম্পত্তি কমেছে।
রিলায়্যান্স গোষ্ঠীর কর্ণধার অম্বানী বর্তমানে দেশের ধনীতম ব্যক্তি। শেয়ার বাজারের অস্থিরতায় সবচেয়ে বেশি ধাক্কা খেয়েছেন তিনি। তাঁর ৩০ হাজার কোটি টাকা (৩৬০ কোটি ডলার) সম্পত্তি কমেছে। শেয়ার বাজারে ধসের প্রভাব পড়েছে আদানি গোষ্ঠীর উপরেও। সংস্থার কর্ণধার গৌতম আদানির মোট সম্পত্তির পরিমাণও ২৫ হাজার কোটি টাকা (৩০০ কোটি ডলার) কমেছে।
দেশের ধনীতম মহিলা সাবিত্রী। তাঁর পরিবার ওপি জিন্দল গোষ্ঠীর মালিক। শেয়ার বাজারে ধসের পরে জিন্দল পরিবারের ১৮ হাজার কোটি টাকা (২২০ কোটি ডলার) সম্পত্তি হ্রাস পেয়েছে। উল্লেখ্য, সাবিত্রী বর্তমানে বিশ্বের ধনকুবেরদের তালিকায় ৪৫তম স্থানে রয়েছেন। ‘এইচসিএল টেকনোলজিজ়’-এর প্রতিষ্ঠাতা শিব নাদারের সম্পত্তিও ১২ হাজার কোটি টাকা (১৫০ কোটি ডলার) কমেছে। বস্তুত, শেয়ার বাজারের ওঠানামার উপর তাঁদের সম্পত্তির মোট হিসাবও সব সময় ওঠানামা করে। এ ক্ষেত্রেও তেমনই হয়েছে।
আরও পড়ুন:
সোমবার বাজার খোলার পরে বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জ (বিএসই)-র সূচক সেনসেক্স ৩,৯৩৯.৬৮ পয়েন্ট কমে হয় ৭১,৪২৫.০১। এই সময়ের মধ্যে নিফটিও ১,১৬০.৮ পয়েন্ট কমে ২১,৭৪৩.৬৫ এ পৌঁছোয়। এটি ভারতীয় শেয়ার বাজারে গত ১০ মাসে সবচেয়ে বড় পতন। তবে শুধু ভারতীয় শেয়ার বাজারেই নয়, এশিয়ার বিভিন্ন দেশে শেয়ার বাজারে পতন ঘটেছে সোমবার। বস্তুত, ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্কনীতির প্রভাবে গোটা বিশ্বের শেয়ার বাজারে গত কয়েক দিন ধরে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। ওয়াল স্ট্রিটেও টালমাটাল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ট্রাম্পের সাম্প্রতিক নীতির জন্য বহু সংস্থা, গ্রাহক এবং বিনিয়োগকারীদের মধ্যে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে, যার প্রভাব পড়েছে গোটা বিশ্বেই।