Advertisement
১৯ ডিসেম্বর ২০২৪
Manipur Clash

সেনাকে লক্ষ্য করে গুলি চলল মণিপুরে, পাল্টা হামলায় সশস্ত্র দুষ্কৃতীদের রুখল বাহিনী

বৃহস্পতিবারই হিংসাবিধ্বস্ত মণিপুরে গিয়েছেন রাহুল গান্ধী। জাতি হিংসায় ঘরছাড়াদের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার পথে রাজ্যের চূড়াচাঁদপুর জেলার বিষ্ণুপুর এলাকায় আটকানো হয় রাহুলের কনভয়।

Army says rioters opened fire in Manipur villege, counter action taken

মণিপুরে টহল দিচ্ছে সেনা। —পিটিআই।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
ইম্ফল শেষ আপডেট: ২৯ জুন ২০২৩ ১৭:৫৮
Share: Save:

মণিপুরে হিংসা থামার কোনও ইঙ্গিত নেই। বৃহস্পতিবারও সে রাজ্য থেকে গুলি চলার খবর এসেছে। সেনার তরফে জানানো হয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালেও উত্তর-পূর্ব ভারতের এই রাজ্যের একটি গ্রামে সেনাকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে অজ্ঞাতপরিচয় কিছু দুষ্কৃতী। পাল্টা গুলি ছোড়ে সেনাও। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত হতাহতের খবর পাওয়া না গেলেও সেনার তরফে অসমর্থিত সূত্রকে উদ্ধৃত করে জানানো হয়েছে, গুলির যুদ্ধে বেশ কয়েক জন দুষ্কৃতী মারা গিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার ভারতীয় সেনার অন্তর্ভুক্ত ‘স্পিয়ার কর্পস’-এর তরফে একটি বিবৃতি প্রকাশ করে জানানো হয়, মণিপুরের হারাওথেল গ্রামে টহল দেওয়ার সময়ে হঠাৎই ভোরের দিকে সেনা আধিকারিকদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে শুরু করেন কিছু অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতী। সেনার তরফে জানানো হয়েছে, ‘পারিপার্শ্বিক ক্ষয়ক্ষতি’ এড়াতে পাল্টা গুলি চালায় তারাও। সেনার তরফে এ-ও জানানো হয়েছে যে, বিপুল সংখ্যক উন্মত্ত জনতা ওই এলাকায় জড়ো হয়েছিল।

বৃহস্পতিবারই হিংসাবিধ্বস্ত মণিপুরে গিয়েছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। জাতি হিংসায় ঘরছাড়াদের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার পথে রাজ্যের চূড়াচাঁদপুর জেলার বিষ্ণুপুর এলাকায় আটকানো হয় রাহুলের কনভয়। পুলিশের একটি সূত্র মারফত জানা যায়, হামলার আশঙ্কাতেই আটকানো হয় কংগ্রেস নেতার কনভয়। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ দিল্লি থেকে বিমানে মণিপুরের রাজধানী ইম্ফলে পাড়ি দেন রাহুল। সাড়ে ১১টা নাগাদ পৌঁছন ইম্ফল বিমানবন্দরে। গোষ্ঠীহিংসায় দীর্ণ উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ওই রাজ্যে দু’দিনের একাধিক কর্মসূচি রয়েছে তাঁর।

প্রসঙ্গত, মণিপুরে দেড় মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা ধারাবাহিক হিংসায় নিহতের স‌ংখ্যা দেড়শো ছুঁতে চলছে। ঘরছাড়া প্রায় ৫০ হাজার মানুষ! গত শনিবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ মণিপুর পরিস্থিতি নিয়ে সর্বদল বৈঠক করলেও তার পরেও হিংসার একাধিক ঘটনা ঘটেছে। গত ৩ মে মণিপুরের জনজাতি ছাত্র সংগঠন ‘অল ট্রাইবাল স্টুডেন্টস ইউনিয়ন অফ মণিপুর’ (এটিএসইউএম)-এর বিক্ষোভ-মিছিল ঘিরে উত্তর-পূর্বের ওই রাজ্যে অশান্তির সূত্রপাত। মণিপুর হাই কোর্ট মেইতেইদের তফসিলি জনজাতির মর্যাদা দেওয়ার বিষয়টি রাজ্য সরকারকে বিবেচনা করার নির্দেশ দিয়েছিল। এর পরেই জনজাতি সংগঠনগুলি তার বিরোধিতায় পথে নামে। আর সেই ঘটনা থেকেই সংঘাতের সূচনা হয় সেখানে।

মণিপুরে যুযুধান মেইতেই এবং কুকি জনগোষ্ঠীর বিভিন্ন সংগঠন ইতিমধ্যেই বিজেপি পরিচালিত রাজ্য সরকারের প্রতি প্রকাশ্যে অনাস্থা প্রকাশ করেছে। এমনকি কুকিরা পৃথক রাজ্যের দাবিও তুলেছে। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে সেই দাবিতে ইন্ধন জুগিয়েছেন মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপির সহযোগী দল মিজো ন্যাশনাল ফ্রন্টের প্রধান জোরামথাঙ্গা।

অন্য বিষয়গুলি:

Manipur Violence Manipur army Firing
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy