Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪
Manipur Violence

মণিপুরে লুট ছ’হাজার সরকারি আগ্নেয়াস্ত্রের মধ্যে উদ্ধার মাত্র দু’হাজার! উদ্বেগ বাড়ছে সেনার

ভারতীয় সেনার পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডের প্রধান লেফেটেন্যান্ট জেনারেল রানাপ্রতাপ কলিতার মতে, লুট হওয়া সব আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা না-গেলে মণিপুরে পুরোপুরি শান্তি ফিরবে না।

Army says, Manipur violence will stop if 4,000 looted weapons are recovered

মণিপুরে অস্ত্র উদ্ধার অভিযান ভারতীয় সেনার। — ফাইল চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
গুয়াহাটি শেষ আপডেট: ২২ নভেম্বর ২০২৩ ২৩:১৫
Share: Save:

গত ছ’মাস ধরে হিংসাবিধ্বস্ত মণিপুরে নিরাপত্তা বাহিনী এবং প্রশাসনের ঘুম কেড়েছে চুরি যাওয়া সরকারি অস্ত্র। ৭ জুন থেকে সেই চুরি যাওয়া অস্ত্র উদ্ধারের কাজে নেমেছে অসম রাইফেলস এবং সেনা। কিন্তু এখনও পর্যন্ত লুট হওয়া ছ’হাজারের বেশি সরকারি আগ্নেয়াস্ত্রের মধ্যে মাত্র দু’হাজার অস্ত্র উদ্ধার করা গিয়েছে বলে জানিয়েছেন ভারতীয় সেনার পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডের প্রধান লেফেটেন্যান্ট জেনারেল রানাপ্রতাপ কলিতা।

পূর্বাঞ্চলীয় সেনধ্যক্ষ বলেন, ‘‘বাকি চার হাজার অস্ত্র উদ্ধার করা গেলে তবেই মণিপুরে পুরোপুরি শান্তি ফিরবে।’’ লুট হওয়া অস্ত্র যত দিন দুষ্কৃতীদের হাতে থাকবে তত দিন পর্যন্ত মণিপুর পুরোপুরি শান্ত হবে না বলেও জানান তিনি। লেফেটেন্যান্ট জেনারেল কলিতার কথায়, ‘‘যুযুধান দুই জনগোষ্ঠী মেইতেই এবং কুকিদের মধ্যে এখনও তীব্র বিদ্বেষ রয়েছে। ফলে পরিস্থিতি খুবই স্পর্শকাতর।’’

সেনাবাহিনী এবং পুলিশ সূত্রের খবর, অস্ত্র উদ্ধারের ক্ষেত্রে সব থেকে বড় বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছেন দুই জনগোষ্ঠীর সাধারণ মানুষ। বাহিনীর উপর পাল্টা চড়াও হচ্ছেন তাঁরা। কেন্দ্রীয় সংস্থার আশঙ্কা, চুরি করা বেশ কিছু অস্ত্র বিভিন্ন জঙ্গিগোষ্ঠীগুলির মধ্যে বিক্রি বা বিলিয়ে দেওয়া হয়েছে। তেমন হলে সেই অস্ত্র উদ্ধার করা কার্যত অসম্ভব। পূর্বাঞ্চলীয় সেনাধ্যক্ষ বলেন, ‘‘প্রাথমিক ভাবে সেনার দায়িত্ব ছিল গোষ্ঠীহিংসার কারণে ঘরছাড়াদের উদ্ধার এবং নিরাপত্তা ও ত্রাণের ব্যবস্থা করা। পরে আমরা হিংসা নিয়ন্ত্রণে শক্তি প্রয়োগ করেছি। কিন্তু কুকি ও মেইতেইদের মধ্যে তীব্র মেরুকরণের কারণে এখনও কিছু এলাকায় বিক্ষিপ্ত হিংসা চলছে।’’

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE