সেনাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে হত জঙ্গির দেহ নিয়ে উত্তাল হয়ে উঠল মায়ানমার-নাগাল্যান্ড সীমান্ত। নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে স্থানীয় মানুষের সংঘর্ষে নিহত হয়েছে স্থানীয় দুই স্কুলপড়ুয়া। পরিস্থিতি সামাল দিতে কার্ফু জারি করা হয়েছে। ওই এলাকায় যাচ্ছে অকুস্থলে সেনা, পুলিশ ও আসাম রাইফেলসের বিশাল বাহিনী।
অসম ও নাগাল্যান্ডে হানা দিতে খাপলাং, আলফা, কেএলও ও এনডিএফবি-র যৌথ মঞ্চ ইউএনএলএফডব্লিউ জঙ্গিরা মায়ানমার সীমান্ত পার হয়ে ভারতে ঢুকছে বলে আগেই সতর্ক করেছিলেন গোয়েন্দারা। মণিপুরে সেনাবাহিনীর উপরে খাপলাং জঙ্গিদের আক্রমণের পরে, আসাম রাইফেলসের পাশাপাশি সেনাবাহিনীকেও সীমান্তে মোতায়েন করা হয়। গত কাল মায়ানমার সীমান্ত থেকে বিস্ফোরক-সহ এক আলফা জঙ্গিকে ধরার পরে জানা গিয়েছিল, তাদের আরও সদস্য ভারতে ঢুকেছে। নাগাল্যান্ডের সীমান্তবর্তী ফেক জেলাতেও ঘাঁটি গেড়েছে খাপলাং জঙ্গিরা। সেই মতো সেনার প্যারা-কম্যান্ডোদের একটি বিশেষ দল গতকাল রাতে মায়ানমার সীমান্ত বরাবর অভিযান চালায়। ওয়াবাংসো গ্রামে জঙ্গিদের একটি শিবির দেখতে পায় তারা। জওয়ানদের দেখে জঙ্গিরা গুলি চালাতে থাকে। বেশ কিছুক্ষণ দু’পক্ষে গুলির লড়াই চলার পরে তিন জঙ্গি মারা যায়। বাকিরা সীমান্ত পার হয়ে পালায়। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয় দু’টি একে-৪৭ রাইফেল।
সরকারি ভাবে সীমান্ত সুরক্ষার ভার এখনও আসাম রাইফেলসের উপরেই রয়েছে। তাই ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা জঙ্গিদের দেহগুলি মেলুরি থানায় নিয়ে গিয়ে নাগা পুলিশের হাতে তুলে দেওয়ার দায়িত্ব ছিল ওই বাহিনীর উপরেই। আজ সন্ধ্যায় তারা মেলুরি থানায় গিয়ে তিনটি দেহ পুলিশের হাতে তুলে দেয়। আসাম রাইফেলস সূত্রে খবর, গুলির লড়াইয়ে হত তিন জঙ্গির মধ্যে এক জন ছিল খাপলাং গোষ্ঠীর স্বঘোষিত ক্যাপ্টেন। সে স্থানীয় ফোর গ্রামের বাসিন্দা। অন্য দু’জন মায়ানমারের নাগরিক বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।
দেহ হস্তান্তর করে মেলুরি থানা থেকে বের হয়ে ফোর গ্রামের দিকে যেতেই গ্রামবাসীরা আসাম রাইফেলসের জওয়ানদের পথ আটকান। বাসিন্দাদের দাবি ছিল, ফোরের বাসিন্দা নিহত ওয়াংচুকের দেহ তাঁদের হাতে তুলে দিতে হবে। জওয়ানরা জানান, দেহ হস্তান্তর করা হয়ে গিয়েছে। কিন্তু সে কথা শুনতে রাজি না হয়ে তাঁদের পথ আটকে দেন গ্রামবাসীরা। তাঁদের মধ্যে অনেকেই সশস্ত্র ছিলেন বলে দাবি পুলিশের।
আসাম রাইফেলস সূত্রে খবর, তর্কাতর্কির মধ্যেই জওয়ানদের লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। দুই জওয়ান গুলিবিদ্ধ হন। জওয়ানরা পাল্টা গুলি চালান। তাতে স্থানীয় স্কুলের এক ছাত্রী ও এক ছাত্র ঘটনাস্থলেই মারা যায়। জখম হন এক বৃদ্ধা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy