উপেন্দ্র দ্বিবেদী। —ফাইল চিত্র।
সেনার উপস্থিতি থাকলেও মণিপুরে কিছু সংঘর্ষের ঘটনা যে ঘটেই চলেছে, তা মেনে নিলেন সেনাপ্রধান উপেন্দ্র দ্বিবেদী। মণিপুর অশান্ত থাকলেও লাদাখ সীমান্তের পরিস্থিতি স্থিতিশীল বলে দাবি করেছেন তিনি। দ্বিবেদীর কথায় স্পষ্ট, ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে জঙ্গি অনুপ্রবেশও জারি রয়েছে।
দেড় বছর ধরে উত্তপ্ত মণিপুর। পরিস্থিতি কিছু দিন ঠিক থাকার পরে আচমকা নতুন করে অশান্তির আগুন জ্বলে উঠছে বলে স্বীকার করে নিয়েছেন সেনাপ্রধান। সাংবাদিক বৈঠকে আজ তিনি বলেন, ‘‘পরিস্থিতি মোটের উপরে শান্ত হলেও ঘুরে-ফিরে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেই চলেছে।’’ আর এই সংঘর্ষ আদিবাসী জাতিসত্তার লড়াইয়ে পরিণত হয়েছে বলেই মনে করেন তিনি। তাই সংবেদনশীলতার সঙ্গে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার উপরে জোর দিয়ে সেনাপ্রধান বলেন, ‘‘আশা করছি নতুন রাজ্যপাল (প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রসচিব অজয় ভল্লা)-পরিস্থিতি অনুযায়ী পদক্ষেপ করবেন।’’ মণিপুরে সংঘর্ষ থামাতে না পারার পিছনে বিভিন্ন বাহিনীর মধ্যে সমন্বয়ের অভাব নিয়ে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেন সেনাপ্রধান দ্বিবেদী।
তবে মায়ানমারের অশান্ত পরিস্থিতি মণিপুরেও অস্থিরতার কারণ হতে পারে, সেই সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেননি সেনাপ্রধান। তাঁর কথায়, ‘‘মায়ানমার সেনার সঙ্গে বিদ্রোহীদের লড়াই চলছে। ফলে বহু মানুষ প্রাণে বাঁচার তাগিদে মণিপুর দিয়ে ভারতে প্রবেশ করে চলেছে। এমনকি প্রতিবেশী দেশের সৈন্যরাও কখনও ঢুকে পড়ছে। অস্ত্র হাতে যাঁরা আসছেন তাঁদের অস্ত্র সমর্পণ করে দেশের ভিতরে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে।’’ গোয়েন্দাদের মতে, আশ্রয়ের ভিড়ে এমন ব্যক্তিরাও রয়েছে যাদের লক্ষ্য মণিপুরে অস্থিরতা বজায় রাখা। তাদের চিহ্নিত করাই প্রশাসনের কাছে এখন চ্যালেঞ্জ। সেনাপ্রধান জানান, লাদাখ সীমান্ত স্পর্শকাতর হলেও, স্থিতিশীল। সেখানে পশুপালকদের গতিবিধি শুরু হয়েছে। তবে আর এক সীমান্তে জম্মু ও কাশ্মীর দিয়ে জঙ্গি অনুপ্রবেশ যে চলেছে, তা প্রকারন্তরে মেনে নিয়েছেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy