জগনমোহন রেড্ডি।— ফাইল চিত্র
নির্বাচিত সরকার ফেলে দেওয়ার ষড়যন্ত্র করছেন সুপ্রিম কোর্টের এক বিচারপতি! এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুলে প্রধান বিচারপতি এসএ বোবডের কাছে নালিশ জানালেন অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী জগনমোহন রেড্ডি। তাঁর আরও অভিযোগ ‘প্রধান বিচারপতির দৌড়ে থাকা’ ওই বিচারপতি তেলুগু দেশম পার্টি (টিডিপি)-র নেতা তথা রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডুর হয়ে কাজ করছেন। অন্ধ্রপ্রদেশ হাইকোর্টের কয়েক জন বিচারপতিও ওই ষড়যন্ত্রে যুক্ত বলে অভিযোগ করেছেন জগন।
সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতির বিরুদ্ধে এ হেন অভিযোগ এর আগে শেষ বার কবে শোনা গিয়েছে তা মনে করতে পারছেন না অনেকেই। বস্তুত এমন নজিরবিহীন অভিযোগ তুলে রাজনৈতিক মহলে শোরগোল ফেলে দিয়েছেন জগনমোহন। প্রধান বিচারপতিকে তিনি যে চিঠি লিখেছেন তাতে নিজের ‘যন্ত্রণা এবং কষ্ট’-এর কথা উল্লেখ করেছেন অন্ধ্রের মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি এও অভিযোগ করেছেন, ‘গণতান্ত্রিক ভাবে নির্বাচিত সরকারকে সঙ্কটের মুখে ঠেলে দিতে বা ফেলে দিতে হাইকোর্টের মতো মহান প্রতিষ্ঠানকে ব্যবহার করা হচ্ছে। ’ জগনের দাবি, সুপ্রিম কোর্টের ওই বিচারপতি অন্ধ্রপ্রদেশ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি এবং চার জন অন্যান্য বিচারপতির উপর প্রভাব খাটাচ্ছেন। তাঁর আরও অভিযোগ, চন্দ্রবাবু এবং টিডিপির বিভিন্ন মামলা ওই চার বিচারপতি পালা করে দেখভাল করছেন।
চাঞ্চল্যকর এই অভিযোগের সপক্ষে জগন নানা তথ্যপ্রমাণও প্রধান বিচারপতির হাতে তুলে দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে একাধিক টিডিপি নেতার বিরুদ্ধে মামলা এবং রায়ের তালিকা। জগনের অভিযোগ, এর জেরে ‘তাঁর সরকারের কাজকর্ম বাধা পাচ্ছে।’ চন্দ্রবাবুর আমলে একাধিক দুর্নীতি মামলার দিকেই দিক নির্দেশ করেছেন জগন।
আরও পড়ুন: ‘দারুণ লাগছে’, প্রকাশ্যে এসেই একটানে মাস্ক খুলে ফেললেন ট্রাম্প
বিস্তারিত অভিযোগ জানিয়ে, প্রধান বিচারপতিকে উপযুক্ত পদক্ষেপ করার আবেদন করেছেন অন্ধ্রের মুখ্যমন্ত্রী। সেই সঙ্গে বিচারব্যবস্থার নিরপেক্ষতা বজায় রাখার আবেদনও করেছেন।
আরও পড়ুন: মহারাষ্ট্রকে ছাপিয়ে দৈনিক সংক্রমণে শীর্ষে কেরল, দেশে আক্রান্ত সাড়ে ৭০ লক্ষেরও বেশি
গত বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দিল্লিতে সাক্ষাৎ করেছিলেন জগন। ওই সময়েই তিনি শীর্ষ আদালতের কাছে ওই চিঠি পাঠান বলে সূত্রের খবর। তার আগে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গেও দেখা করেন তিনি। জগনের ওই বিস্ফোরক অভিযোগ নিয়ে রাজনৈতিক মহল এখন তোলপাড়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy