আরব সাগরে একটি ঘূর্ণিঝড় তৈরির আশঙ্কা রয়েছে। —প্রতীকী ছবি।
ধেয়ে আসতে পারে আরও একটি ঘূর্ণিঝড়! এমন আশঙ্কাই করল মৌসম ভবন। আগামী ৫ জুন, সোমবার দক্ষিণ পূর্ব আরব সাগরে একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে। যা পরবর্তী কালে নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। তার পরে তা ঘূর্ণিঝড়ের চেহারা নিতে পারে বলে আশঙ্কা। শুক্রবার এমন অশনি সঙ্কেতই দিয়েছে কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতর।
গত মাসের ১৪ তারিখে বাংলাদেশ এবং মায়ানমারের উপর দিয়ে অতিক্রম করেছিল ঘূর্ণিঝড় মোকা। যার তাণ্ডবে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল বাংলাদেশ এবং মায়ানমারে। ঝড়ের বেগ ছিল ঘণ্টায় ১৮০ থেকে ১৯০ কিমি। সর্বোচ্চ বেগ ছিল ঘণ্টায় ২১০ কিমি। মোকা বিদায় নেওয়ার এক মাসও হয়নি। এর মধ্যেই নতুন করে ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা তৈরি হল।
আবহবিজ্ঞানী উমাশঙ্কর দাস জানিয়েছেন, আগামী ৫ জুন দক্ষিণ পূর্ব আরব সাগরে ঘূর্ণাবর্ত তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে। এর প্রভাবে পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায়, অর্থাৎ ৭ জুন নিম্নচাপ তৈরি হতে পারে। তার পরই ঘূর্ণিঝড় তৈরি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। মৌসম ভবনের আরও এক বিজ্ঞানী ডি শিবানন্দ পাই জানিয়েছেন, আরব সাগরে ঘূর্ণিঝড় তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এখনই নিশ্চিত করে বলা যাবে না, এটা আদৌ শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে কি না। আরব সাগরে ঘূর্ণিঝড় তৈরি হলে তার গতিবিধি কী হবে, তা এখনই স্পষ্ট করে কিছু জানা যায়নি। নিম্নচাপ তৈরির পরই এ ব্যাপারে ছবিটা আরও স্পষ্ট হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
অন্য দিকে, দেশে এ বার দেরিতে বর্ষা আসছে। দেশের মধ্যে কেরলে প্রথম বর্ষা আসে। স্বাভাবিক সময় ১ জুন। মৌসম ভবনের পূর্বাভাস, এ বার কেরলে বর্ষা ঢুকতে পারে ৪ জুন। এর মধ্যে ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা করা হচ্ছে। মোকার তাণ্ডবের হাত থেকে রেহাই পেয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। তবে গরমে পুড়েছে এই রাজ্য। গত কয়েক দিন ধরে আবার বাংলায় তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। একই হাল বিহার, সিকিম-সহ আরও কয়েকটি রাজ্যের। এই পরিস্থিতিতে বর্ষার অপেক্ষায় সকলে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy