কেন্দ্রীয় আদিবাসী বিষয়ক মন্ত্রী অর্জুন মুন্ডা। ফাইল ছবি
বাড়ির বাগানে ফলানো আনাজ আর পশুপালন করে তার মাংস-পশম হাটে বিক্রি করেন বলে তাঁদের সম্প্রদায়ের নামই হাটী। হিমাচল-উত্তরাখণ্ডে সীমান্তবর্তী গিরি-পার এলাকায় বসবাসকারী এই হাটী সম্প্রদায় ১৯৬৭ সাল থেকে তাঁদের জনজাতি তালিকাভুক্ত করার দাবি জানিয়ে আসছেন। ডিসেম্বরে হিমাচল প্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে হাটীদের জনজাতি তালিকাভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিল মোদী সরকার।
আজ কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা সংবিধান সংশোধনী বিলে অনুমোদন দিয়েছে। কেন্দ্রীয় আদিবাসী বিষয়ক মন্ত্রী অর্জুন মুন্ডার বক্তব্য, এর ফলে হাটী সম্প্রদায়ের ১.৬৭ লক্ষ মানুষ উপকৃত হবেন। এই ভোটব্যাঙ্কের ফায়দা তুলতে হিমাচলে বিজেপি সরকারের মুখ্যমন্ত্রী জয়রাম ঠাকুর কেন্দ্রের কাছে বিস্তারিত প্রস্তাব পাঠিয়েছিলেন।
আজ কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা হিমাচল ছাড়াও ছত্তীসগঢ়, কর্নাটক, তামিলনাড়ু, উত্তরপ্রদেশের মোট ১৫টি সম্প্রদায়কে জনজাতি তালিকাভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ফলে জনজাতি তালিকাভুক্ত সম্প্রদায়ের সংখ্যা ৭০৫টি থেকে বেড়ে ৭২০টি হল। শেষ জনগণনা অনুযায়ী দেশে জনজাতি মানুষের সংখ্যা ১০.৪৩ কোটি। মোট জনসংখ্যার ৮.৬%। এই জনজাতি ভোটকে পাখির চোখ করেই বিজেপি দ্রৌপদী মুর্মুকে রাষ্ট্রপতি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। এ বার জনজাতিদের জন্য আরও পদক্ষেপ করে চলতি বছরের শেষে গুজরাত, হিমাচল এবং আগামী বছর রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তীসগঢ়ের আদিবাসী এলাকায় বিজেপি ভোট টানতে চাইছে বলে রাজনীতিকরা মনে করছেন। কারণ গত বিধানসভা ভোটগুলিতে এই রাজ্যগুলির তফসিলি জনজাতি সংরক্ষিত আসনে বিজেপি ভাল ফল করতে পারেনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy