অঙ্কিতা ভণ্ডারী। ফাইল চিত্র।
নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে অনেক পরিকল্পনা ছিল অঙ্কিতা ভণ্ডারীর। পরিবারের পাশে দাঁড়াতে চেয়েছিলেন ১৯ বছরের তরুণী। অঙ্কিতার মৃত্যুতে এ কথাই বলছেন তাঁর স্কুলের বন্ধু বিবেক নেগী। বিজেপি নেতার ছেলের রিসর্টে রিসেপশনিস্ট অঙ্কিতাকে খুনের অভিযোগে উত্তাল উত্তরাখণ্ড। অঙ্কিতার এ হেন পরিণতি কিছুতেই মানতে পারছেন না, তাঁর বন্ধু ও স্বজনরা।
এনডিটিভিকে অঙ্কিতার বন্ধু বিবেক বলেছেন, ‘‘খুবই গরিব পরিবারের মেয়ে ও। স্কুলে যখন পড়তাম আমরা, তখন ও প্রায়ই বলত যে, দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষায় পাশের পর রোজগার করে পরিবারের পাশে দাঁড়াবে। নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে খুব উৎসাহী ছিল অঙ্কিতা। কেরিয়ার গড়ে পরিবারের পাশে দাঁড়াতে চেয়েছিল।’’
বিবেক বলেছেন, ‘‘আমরা পৌড়ী এলাকার বাসিন্দা। এই এলাকার বাসিন্দারা কাজের সন্ধানে বেরোন। তাঁদের সহজ-সরল স্বভাব। অঙ্কিতাও খুব সরল মেয়ে ছিল। খুব একটা কথা বলত না। নিজের কাজে মগ্ন হয়ে থাকত।’’
পরিবারের পাশে দাঁড়াতেই স্কুলের গণ্ডি পার করেই রোজগারের আশায় প্রাক্তন বিজেপি নেতা বিনোদ আর্যের ছেলে পুলকিতের রিসর্টে রিসেপশনিস্ট হিসাবে কাজে যোগ দিয়েছিলেন। অভিযোগ, রিসর্টে অতিথিদের সঙ্গে যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হতে তাঁকে জোর করা হত। সেই প্রস্তাবে রাজি না হওয়াতেই অঙ্কিতাকে খুন করে খালে ফেলে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় পুলকিত, রিসর্টের ম্যানেজার সৌরভ ও সহকারী ম্যানেজার অঙ্কিতকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁরা বর্তমানে জেল হেফাজতে রয়েছেন।
অঙ্কিতার এই পরিণতিতে আতঙ্ক দানা বেঁধেছে ওই এলাকার মহিলাদের মনে। ‘‘এ রকম ঘটনা যদি ঘটে, কী ভাবে আমরা বাইরে কাজের জন্য যাব?’’ এমন প্রশ্নই করেছেন এক মহিলা। কয়েক জন মহিলা কাঁদতে কাঁদতে বলেছেন, ‘‘ওরা মেয়েটাকে মেরে ফেলল। ভাল ভাবে জীবনযাপনের জন্য রোজগার করতে গিয়েছিল মেয়েটা।’’
রবিবার অঙ্কিতার শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হয়েছে। শেষকৃত্যে বহু মানুষ জড়ো হয়েছিলেন। অঙ্কিতাকে খুনের ঘটনায় দোষীদের ফাঁসি দেওয়ার দাবি উঠেছে। উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিংহ ধামী বলেছেন, দোষীদের কাউকেই রেয়াত করা হবে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy