বর্ষবরণের রাতে রোহিণী জেলায় দিল্লির ২০ বছরের তরুণী অঞ্জলি সিংহের স্কুটিকে ধাক্কা মারার অভিযোগ উঠেছে একটি মারুতি বালেনো গাড়ির ৪ জনের বিরুদ্ধে। —ফাইল চিত্র।
বর্ষবর্ষণের রাতে দিল্লির রাস্তায় অঞ্জলি সিংহকে ধাক্কা মেরে ফেলে গাড়ির নীচে প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে গেলেও মেলেনি পুলিশের সাহায্য। এমনকি, ফোন করলেও এগিয়ে আসেননি কর্তব্যরত টহলদারি পুলিশ আধিকারিকেরা। এই অভিযোগে এগারো জন কর্মী-আধিকারিককে বরখাস্ত করল দিল্লি পুলিশ। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশেই এই পদক্ষেপ করা হয়েছে বলে শুক্রবার জানিয়েছে তারা।
বৃহস্পতিবার অমিত শাহের মন্ত্রক থেকে ওই এগারো জনকে বরখাস্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়। রোহিণী জেলার ডিসিপি গুরিকবাল সিংহ সিধু জানিয়েছেন, বরখাস্ত হওয়া আধিকারিকদের মধ্যে দু’জন সাব-ইনস্পেক্টর, ৪ জন করে অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব-ইনস্পেক্টর এবং হেড কনস্টেবল এবং ১ জন কনস্টেবল রয়েছেন। ওই এগারো জনই ঘটনার রাতে রোহিণী জেলার সুলতানপুরী এলাকায় কর্তব্যরত ছিলেন। তাঁদের মধ্যে ৬ জন ছিলেন টহলদারি ভ্যানে এবং বাকিদের রাস্তায় মোতায়েন করা হয়েছিল। ওই এগারো জনের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগও আনা হবে বলে জানিয়েছে দিল্লি পুলিশ।
বর্ষবরণের রাতে রোহিণী জেলায় দিল্লির ২০ বছরের তরুণী অঞ্জলি সিংহের স্কুটিকে ধাক্কা মারার অভিযোগ উঠেছে একটি মারুতি বালেনো গাড়ির ৪ জনের বিরুদ্ধে। ওই ধাক্কায় স্কুটির সামনে ছিটকে পড়েন অঞ্জলি। পিছনে পড়ে যান স্কুটিতে সওয়ার অঞ্জলির বন্ধু নিধি। আরও অভিযোগ, অঞ্জলিকে ধাক্কা মারার পর প্রায় গাড়ির পিছনে আটকে গিয়েছিলেন তিনি। তবে আড়াই ঘণ্টা ধরে প্রায় ১৪ কিলোমিটার রাস্তায় তাঁকে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যায় ওই গাড়িটি। ভোর ৪টে নাগাদ কঞ্ঝাবলা এলাকায় অঞ্জলির দলাপাকানো দেহ দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা।
দীপক দাহিয়া নামে এক প্রত্যক্ষদর্শীর দাবি, দিল্লি পুলিশের ৩টি টহলদারি ভ্যান ওই গাড়িটিকে অনুসরণ করছিল। ওই সময় গাড়িটির নীচে একটি মেয়ের দেহ আটকে ছিল। পুলিশি তদন্তে জানা গিয়েছে, ওই ঘটনার সময় পুলিশের কাছে একাধিক ফোন করা হলেও তৎক্ষণাৎ সাহায্য মেলেনি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে ওই পুলিশ আধিকারিকদের বিরুদ্ধে তদন্ত রিপোর্ট জমা দিয়েছেন এ কাজে দায়িত্বপ্রাপ্ত স্পেশাল পুলিশ কমিশনার শালিনী সিংহ। তাঁর রিপোর্টের পরই ওই আধিকারিকদের বরখাস্ত করার নির্দেশ দেয় শাহের মন্ত্রক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy