শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। ইন্ডিয়া গেট-এ বসানো হচ্ছে সুভাষচন্দ্র বসুর মূর্তি। বুধবার দিল্লিতে। পিটিআই
রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে ইন্ডিয়া গেট পর্যন্ত ‘কর্তব্য পথ’-এর উদ্বোধন করে বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ইন্ডিয়া গেটে সুভাষচন্দ্র বসুর মূর্তির আবরণ উন্মোচন করবেন। সেই অনুষ্ঠানে তিনি থাকছেন না বলে একটি সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন সুভাষ-কন্যা অনিতা বসু পাফ।
গত ২৩ জানুয়ারি, সুভাষচন্দ্রের জন্মজয়ন্তীতে ইন্ডিয়া গেটে তাঁর হলোগ্রাম-মূর্তি ফুটে উঠেছিল। ১৫ অগস্ট, স্বাধীনতা দিবসে একই জায়গায় পাথরের মূর্তি প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মোদী। কিন্তু শেষ পর্যন্ত হয়নি সেটা। সাক্ষাৎকারে অনিতার বক্তব্য, ১৫ অগস্ট উদ্বোধন উপলক্ষে তাঁকে আগাম আমন্ত্রণ করা হলেও পরে অনুষ্ঠান বাতিলের কথা আর জানানো হয়নি।
অনিতা বলেছেন, ‘‘একটা আমন্ত্রণ আসতে পারে বলে ২৯ অগস্ট খবর দেওয়া হয়েছিল। ৩ সেপ্টেম্বর সংস্কৃতি মন্ত্রক সরকারি আমন্ত্রণপত্র পাঠিয়েছে। আগের বারের অভিজ্ঞতার জন্য এ বারও অনিশ্চয়তায় ছিলাম। আর আজ অবধি কোনও অনুষ্ঠানসূচি দেখলাম না— অবশ্য কিছু না-ও হতে পারে। আমি যতটুকু জানি, প্রধানমন্ত্রী খুব অল্প ক্ষণের জন্য উপস্থিত হবেন আর অনেকটা দূর থেকে তাঁকে শুধু দেখতে পাব। শতখানেক দর্শকের মধ্যে আমার বসে থাকা বা না-থাকাটা কেউ ধর্তব্যেও আনবেন না।’’
সুভাষচন্দ্রের জন্মের ১২৫ বছরে মূর্তির উদ্বোধন। কিন্তু উদ্বোধনের দিনটির কোনও বিশেষ তাৎপর্য নেই। এই ব্যাপারে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বসু পরিবারের অনেকেই। সূত্রের খবর, জন্মবার্ষিকী উদ্যাপনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন ৮৫ জনের যে কমিটি গঠিত হয়েছে, তার অন্যতম সদস্য তথা গত লোকসভা ভোটে দক্ষিণ কলকাতার বিজেপি প্রার্থী, বসু-পরিবারের চন্দ্রকুমার বসু এ ব্যাপারে চিঠি দিয়েছেন মোদীকে।
অনিতা বলেন, ‘‘সরকার নেতাজিকে সম্মান জানাতে চায়, এটা বুঝছি, তবে কোনও না কোনও ভাবে পুরোটা খুব বিভ্রান্তিকর হয়ে পড়ছে। আমাদের এটা মেনে নিতে হবে যে, সে দিন কর্মসূচিতে অনেক কিছু রয়েছে। তার মধ্যে নেতাজির মূর্তি উন্মোচন একটি বিষয় মাত্র।’’ তাঁর কথায়, ‘‘আমি খুশি হতে পারছি না, কারণ সমস্ত আয়োজনটাই অত্যন্ত বিশৃঙ্খল। তবে মূর্তি বসছে বলে আমি অবশ্যই খুশি। ৮ সেপ্টেম্বর তারিখটা সম্পূর্ণ অপ্রত্যাশিত ছিল। নেতাজির সঙ্গে এর কোনও যোগই নেই। আমরা মোটামুটি আশা করেছিলাম, ২১ অক্টোবর (আজাদ হিন্দ গঠন, এ বার আশিতম বছর) বা ২৩ জানুয়ারি (সুভাষচন্দ্রের জন্মবার্ষিকী) হবে।’’
প্রায় সাড়ে ১৩ হাজার কোটি টাকার সেন্ট্রাল ভিস্টা প্রকল্পের অংশ সুভাষচন্দ্রের এই মূর্তিটি। এই প্রকল্পে নতুন সংসদ ভবন, উপরাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর নতুন বাসভবন ও দফতর, মন্ত্রকের নতুন বাড়ি ইত্যাদি হয়েছে। সাউথ ও নর্থ ব্লককে জাদুঘর করা হচ্ছে। পাথর খোদাই করে ভাস্কর অরুণ যোগীরাজের নেতৃত্বে একদল শিল্পী সুভাষচন্দ্রের ৬৫ টন ভারী মূর্তিটি নির্মাণ করেছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy