—প্রতীকী ছবি।
ইনস্টাগ্রামে প্রায়ই রিল বানিয়ে পোস্ট করতেন স্ত্রী। স্ত্রীর সঙ্গে ওপারে থাকতেন তাঁর প্রেমিক। তা নিয়েই ঘরে স্বামী-স্ত্রীর নিত্য ঝামেলা। অশান্তির মাঝে রাগের বশে স্ত্রীকে খুনের অভিযোগ উঠল হরমেশের বিরুদ্ধে। শুক্রবার পঞ্জাবের মোগা এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। মৃতের নাম সর্বজিৎ কৌর।
পুলিশ সূত্রে খবর, বহু বছরের সংসার ছিল হরমেশ এবং সর্বজিতের। বিয়ের পর ছয় সন্তানের জন্ম দিয়েছিলেন সর্বজিৎ। তবে তাঁদের মধ্যে দুই সন্তান মারা যায়। তিন সন্তানের বিয়ে হয়ে গিয়েছে। ছোট মেয়ের সঙ্গে বাড়িতে থাকতেন হরমেশ এবং সর্বজিৎ। পুলিশ সূত্রে খবর, প্রতিবেশীর সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন সর্বজিৎ। প্রেমিকের সঙ্গেই রিল ভিডিয়ো বানিয়ে ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করতেন সর্বজিৎ। ঘন ঘন সমাজমাধ্যমে রিল পোস্ট করায় আপত্তি জানিয়েছিলেন হরমেশ। তা নিয়ে রোজই স্ত্রীর সঙ্গে ঝামেলা হত তাঁর।
পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে যে, সোমবার প্রতিবেশীর সঙ্গে আইনি মতে বিয়ে করার পরিকল্পনা করেছিলেন সর্বজিৎ। তা কোনও ভাবে জানতে পারেন হরমেশ। সর্বজিতের পাশাপাশি তাঁর প্রেমিককেও খুন করার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন তিনি। অভিযোগ, শুক্রবার স্ত্রীর সঙ্গে অশান্তি হলে রাগের বশে তাঁর আঙুল কেটে ফেলেন হরমেশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে যে সর্বজিৎ যেন আর রিল পোস্ট করতে না পারে সেই কারণে সর্বজিতের আঙুলগুলি কেটে ফেলেছিলেন হরমেশ। অশান্তির সময় সর্বজিতের প্রেমিক ঘটনাস্থলে পৌঁছলেও ভয় পেয়ে সেখান থেকে পালিয়ে যান তিনি। পুলিশ সূত্রে খবর, আঙুল কাটার পর ধারালো অস্ত্র দিয়ে সর্বজিৎকে আঘাত করেছিলেন হরমেশ। গুরুতর আহত অবস্থায় সর্বজিৎকে ঘরের ভিতর ফেলে রেখে পালিয়ে যান তিনি। সেই অবস্থায় উদ্ধার করে সর্বজিৎকে নিকটবর্তী হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। মঙ্গলবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। খুনের অভিযোগে হরমেশকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সম্প্রতি এর ঠিক বিপরীত ঘটনা ঘটেছে বিহারে। রিল বানানোয় আপত্তি জানানোয় এক মহিলার বিরুদ্ধে তাঁর স্বামীকে খুনের অভিযোগ উঠল বিহারের বেগুসরাই এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তের নাম রানি কুমারী। সাত বছর আগে বেগুসরাইয়ের বাসিন্দা মহেশ্বর কুমার রাইয়ের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়েছিল। কলকাতায় শ্রমিকের কাজ করতেন মহেশ্বর। সম্প্রতি তিনি বাড়িতে ফিরেছিলেন। স্ত্রী রানির ঘন ঘন ভিডিয়ো রিল বানানো এবং সেগুলি সমাজমাধ্যমে পোস্ট করা নিয়ে অনেক দিন ধরেই আপত্তি জানাচ্ছিলেন মহেশ্বর। কিন্তু স্বামীর কথায় কান দেননি রানি। আরও ভিডিয়ো রিল বানিয়েছেন। মহেশ্বর বাড়িতে ফেরার পর বিষয়টি নিয়ে রানির সঙ্গে বচসা হয়। মহেশ্বরের বাবার অভিযোগ, তাঁর পুত্রবধূর সঙ্গে এক ব্যক্তির বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে। রবিবার মহেশ্বরকে তাঁর বাপের বাড়িতে ডাকেন রানি। রাত ৯টা নাগাদ সেখানে যান মহেশ্বর। অভিযোগ, প্রেমিক এবং তাঁর দুই বোন রোজ়ি এবং সোনালি কুমারীর সাহায্যে মহেশ্বরকে শ্বাসরোধ করে খুন করেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy